
আবহাওয়া কর্মকর্তারা এই পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। তারা জানান, প্রবল বর্ষণে ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পথঘাট কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এতে করে আটকা পড়া হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে সেনা ও উদ্ধারকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে এমন ভারি বৃষ্টিপাত দেখিনি।’তিনি আরো বলেন, ‘এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।’

বৃহস্পতিবার চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিউশুর বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে সাড়ে সাতহাজার পুলিশ, উদ্ধারকারী ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে তল্লাশি অভিযানের জন্য ৪০টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বহু মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’

এদের মধ্যে একটি শিশু নদীতে ভেসে গেছে এবং এক দম্পতির বাড়ি ভেসে যাওয়ার পর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ফুকুওকা ও ওইতার কর্মকর্তারা জানান, তাদের কাছে ১৫ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে যে কয়েকটি অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসাকুরা নগরীর তাদের অন্যতম। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে নগরীটির রাস্তাগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

আসাকুরা নগরীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা নাওহিসা ওউচিদা বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে এখন পর্যন্ত ছয় থেকে সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। শিশুটি বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে।’ বুধবার কিউশুর কয়েকটি অংশে ১২ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়।