দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ও অলিগলি এখন পানির নিচে। কোথাও কোমর, কোথাও হাটু পর্যন্ত পানি জমে গেছে। অনেক স্থানে মানুষের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
এদিকে মহানগরীর কদমতলীতে জলাবদ্ধ সড়কে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক দোকান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। দীর্ঘসময় সড়কগুলোয় পানি জমে থাকায় কর্মব্যস্ত নগরবাসী চলাচলে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু, অভিভাবক, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা পড়েছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে।
ব্যস্ততম মতিঝিলের সড়কে হাটুপানি
ঢাকার ব্যস্ততম ঢাকার মতিঝিল, বঙ্গবাজার, পল্টন, নাজিমউদ্দিন রোড, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। একই অবস্থা হয়েছে মিরপুর, শ্যামলী, কালশী, নতুন বাজার, খিলক্ষেত, রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা, বাড্ডা, খিলগাঁও, জুরাইন এলাকার।
এছাড়া হাজারীবাগ বেড়ীবাঁধ থেকে সেকশন বেড়ীবাঁধ, কামালবাগ থেকে বাবু বাজার, চকবাজার-জেলখানা সড়ক, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকার সড়ক, শান্তিনগর, রাজারবাগ, মিরপুর ১০ থেকে ১২ নম্বর সড়ক, কালশি সাংবাদিক কলোনী এলাকার সড়ক, মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ি সড়ক, সাত মসজিদ সড়কে চলাচলে পথচারীরা জলাবদ্ধতায় নাকাল হচ্ছেন।
বঙ্গভবনের সামনের সড়ক
রেকর্ড পরিমাণ জলাবদ্ধতা হয়েছে রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায়। ওই এলাকার রেলওয়ে কলোনীর অনেক ভবনের সিড়ি পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।
মহানগরীর কদমতলীতে জলাবদ্ধ সড়কে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ায় মারা যাওয়া দোকান শ্রমিক লিটন মোকাররম মার্কেটের কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। আহত অন্য দুজন হলেন- ওই কাপড় দোকানের মালিক মো. ইউনুস ও তার ভাগ্নে সাইদুল ইসলাম। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামপুরার তিতাস রোডের একটি বাসায় পানিতে দাড়িয়ে রান্না করছে নারী
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে মার্কেটের পূর্ব গেইটের কাছে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃষ্টির পানিতে পড়ে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মার্কেটের ‘আল মদিনা’ কাপড়ের দোকানের মালিক ইউনুস, তার ভাগ্নে সাইদুল ও দোকান কর্মচারী লিটন ওই পথ ধরে দোকানে যাচ্ছিলেন। এসময় পানিতে পা পড়ে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।