ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আংশিক কার্যকরের পক্ষে আদালত

SHARE

মুসলিমপ্রধান ছয় দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সেই নিষেধাজ্ঞা আটকে দিয়েছিলেন দেশটির নিম্ন আদালত। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সেই নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আংশিক কার্যকর হতে যাচ্ছে।

আজ সোমবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওই আদেশের নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেন। হোয়াইট হাউসের জরুরি একটি অনুরোধ আমলে নিয়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আংশিক কার্যকর করার অনুমতি দেন আদালত।

আদালত বলেছেন, ট্রাম্পের নীতিমালা রাখা হবে নাকি সরিয়ে ফেলা হবে সে বিষয়ে আগামী অক্টোবর মাসে বিবেচনা করা হবে। তবে এই সময়ের মধ্যেও সব বিদেশি নাগরিক ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।

গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া ও সুদানের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর ৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ দেশগুলোর ভিসা পাওয়া লোকজনও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। অনেকে শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরে এসে আটক হন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণের কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল।

জানুয়ারিতে দেওয়া ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন ভিসা বাতিল হয়ে যায়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসেই ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল বিচারক জেমস রবার্ট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন। প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প জেমস রবার্টের আদালতের ওই স্থগিতাদেশকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবেন বলে জানান।

৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিলকারীদের মধ্যে ট্রাম্প ছাড়াও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জন কেলি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ছিলেন। আপিলে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এর আগে একাধিক টুইটে ট্রাম্প বিচারক জেমস রবার্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের সমালোচনা করেন।
সূত্র: বিবিস, এএফপি।