ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন

SHARE

২৪আওয়ার রিপোর্ট :  শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি দেশ ও মানুষ বাঁচাতে ক্ষমতা ছেড়ে সহায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর খালেদা জিয়া চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ তাদের গুণ্ডাবাহিনীর কার্যকলাপ দেশের মানুষ দেখেছে। এই অবস্থায় শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, গত ১০ বছরে অনেক করেছেন। গুম, খুন করেছেন। আল্লাহর কাছে বিচার হবে। এবার থামেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন।সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলে বিএনপির বলার কিছুই থাকবে না। তবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।আওয়ামী লীগ ১০ বছরে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে- মন্তব্য করে বিএনপি নেত্রী বলেন, তাই দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আর সেজন্য প্রয়োজন একটি সহায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যে নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবে বলে মনে করেন খালেদা জিয়া।দেশের অর্থনেতিক বৈষম্যের কথা উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, এক শ্রেণির বিত্তশালী বিদেশে গিয়ে মার্কেট করছেন। আরেক শ্রেণি দুর্যোগের মধ্যে পড়ে আছে। দেশের মানুষ তো এখন ব্যাংকে টাকা রাখে না। কিন্তু যারা টাকা লুটপাট করেছে তাদের টাকা তো বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ঈদ অত্যন্ত আনন্দের দিন। কিন্তু এ বছর ঈদের আনন্দ কারো মাঝে নেই। কারণ সারাদেশে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবছর। এর ফলে মানুষের মনে কোনো আনন্দ নেই। সকলেই শোক, দুঃখ, ব্যথা বেদনা নিয়ে ভারাক্রান্ত মনে এই ঈদ করছে।প্রথমে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিক, দাতাসংস্থার প্রতিনিধিরা। এর পরে বিশিষ্ট নাগরিকরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।