সুখবর আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে

SHARE

বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু এসময়ে বড় দলগুলোর বিপক্ষে হাতে গোনা কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে খেলেছে পাঁচটি টেস্ট, ২০১৬ সালে মাত্র দুটি।

তবে এদুর্দিন হয়তো ঘুচে যাবে শিগগিরই। টেস্ট ও ওয়ানডেতে লীগ পদ্ধিতি চালু করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শুক্রবার জানিয়েছেন, আইসিসির আগামী বোর্ড সভায় লীগ চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বোর্ড সভায় লীগ পদ্ধতি অনুমোদন হলে বাংলাদেশের তাতে টেস্ট খেলার আক্ষেপ ঘুচে যাবে।

লীগের জন্য একটা সূচিও ঠিক করা হয়েছে।

সূচি অনুযায়ী ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরপরই টেস্ট লীগ শুরু হতে পারে। এতে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা ৯ দল হোম ও অ্যাওয়ের ভিত্তিতে চার বছরে কমপক্ষে ১২টি টেস্ট সিরিজ খেলবে। প্রতিটি সিরিজে কমপক্ষে দুটি করে ম্যাচ থাকবে। ছয়টি হবে দেশে বাকি ছয়টি বিদেশে।

এই পদ্ধতি চালু হলে শীর্ষে থাকা বাকি আট দলের সমানই টেস্ট খেলতে পারবে বাংলাদেশও।

এই পদ্ধতিতে অবশ্য বিপদে পড়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তারা টেস্ট খেলবে আয়রল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ যদি র‌্যাংকিংয়ে দশে নেমে যায় তাহলে বিপদে পড়বে টাইগাররা। নতুন প্রস্তাবে শীর্ষ ১৩ দলকে নিয়ে ওয়ানডে লীগের কথাও বলা হয়েছে। দুই বছরব্যাপী এই লীগ শুরু হবে ২০২০ সাল থেকে।

জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান নিজেদের মধ্যে টেস্ট সিরিজ আয়োজন করতে পারবে। শীর্ষ ৯ দলের শিডিউল ফাঁকা থাকলে তাদের বিপক্ষেও তারা খেলতে পারবে। নতুন টেস্ট লীগ বিশ্বকাপের পর শুরু হলে চলবে পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

এই লীগ চালু হলে বাংলাদেশের জন্য যেমন ভালো তেমন খারাপও হতে পারে। টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে নয়ের মধ্যে থাকলে সমস্যা নেই। তাতে লীগের অংশ হতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু দশে নেমে গেলেই বিপদ।