বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ, জামিন পায়নি নাঈম-সাদমান

SHARE

রাজধানীর বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট জিআরও এসআই আব্দুল মান্নান।
বন্ধু সাদনান সাকিফের প্ররোচণায় ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় পর ২ মে রাজধানীর বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন তারা।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে দুই তরুণী বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ (প্রকৃত নাম আবদুল হালিম) ঘটনার রাতে তাদের দু’জনকে সারা রাত হোটেলটির দুটি কক্ষে আটকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে।
সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তারা। ঘটনার দীর্ঘদিন পর অভিযোগের কারণ হিসেবে তারা (দুই তরুণী) সামাজিকভাবে হেয় হবেন ভেবে এতদিন ঘটনাটি গোপন রেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
তারা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে আরও বলেন, ‘সেদিন ধারণকৃত সেই ভিডিও ধর্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশসহ তাদের খুন ও গুম করার হুমকি দিচ্ছে বিধায় তারা থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছেন।’
ওই ঘটনায় সাফাত আহমেদের আরেক বন্ধু সাদনান সাকিফ ছাড়াও সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদকেও দায়ী করা হয়।
এদিকে এ ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলায় বনানী থানা পুলিশ ৪ দিনের মাথায় ৬ মে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

ধর্ষণ মামলার পর ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেফতার হন প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফ।

এর ৪ দিন পর ১৫ মে রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান-১ থেকে র্যাব এবং পুলিশের পৃথক অভিযানে গ্রেফতার হন মামলার অপর দুই আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল এবং বডিগার্ড রহমত ওরফে আবুল কালাম আজাদ। সর্বশেষ গ্রেফতার হন আলোচিত এ ধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ (প্রকৃত নাম আবদুল হালিম)।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবদুল হালিম), গাড়িচালক বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত ওরফে আবুল কালাম আজাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের আরেক বন্ধু সাদমান সাকিফকে এ মামলায় প্রধান সাক্ষী করা হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই তদন্ত কর্তৃপক্ষ আভাস দিয়েছেন।