শিশুতোষ স্বলপদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘স্লাম ডগ’

SHARE

IMG_3983দিন দিন বাড়ছে দেশের শিশু অপরাধ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সম্প্রতি জটিল রুপ ধারন করেছে। তাই এ ধরনের একটি প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত হতে চলেছে এরুপ শিশু অপরাধ বিষয়ক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (সর্টফিল্ম) “স্লাম ডগ।”

গতকাল রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির স্যুটিং শুরু হয়েছে। শিশু অপরাধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটির যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ইমারাত হোসেন ইমু এবং শাহরিয়ার লালন। গল্পটি লিখেছেন শেখ মোঃ ইব্রাহীম এবং কামেরায় কাজ করছেন এম ফেরদৌস রেজা।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গল্পটি নির্মিত হচ্ছে শিশু অপরাধ নিয়ে। নগরের বিভিন্ন ফুটপাটে এবং বস্তিতে বেড়ে ওঠা শিশুরা কিভাবে বিভিন্ন অপরাধ যেমন, অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় দুইজন শিশুকে দেখানো হয়েছে, যারা একটি রেল ষ্টেশনের টোকাই। পরে তারা  ধীরে ধীরে মাদকসহ বড় ধরনের চোরাচালান ও অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। পেটের দায়ে এসব পথশিশুরা বাধ্য হয় নানা ধরনের অপরাধ করতে থাকে, এক শ্রেনীর মুনাফালোভী লোক এসব কোমলমতি শিশুদের অপরাধ করতে বাধ্য করে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির দুই কেন্দ্রীয় শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছে এনটিভি’র মার্কস অলরাউন্ডার-২০১০ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অধিকারী সারিকা এবং  চ্যানেল আইয়ের খুদে গানরাজ-২০১১ প্রতিযোগিতায় সেরা ছয় এর রাফি। এছাড়া আরো অভিনয় করেছে সান্নি আকাশ, রিদান, টিনা, মানিক মিয়াজী, এস আই আহাদ, মারিয়া সহ আরো অনেকে।
কেন্দ্রীয় চরিত্রের এই দুই শিশু একটি রেল স্টেশনে বড় হতে থাকে। তাদের দুজনেরই বাবা মা নাই খুদা, দারিদ্র, কষ্টে তাদের বেঁচে থাকা বড় দায়। তাদের এই দারিদ্রতায় সুযোগ নেয় মুনাফালোভী এক শ্রেনীর মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। ধীরে ধীরে তারা জড়িয়ে পড়ে অপরাধ জগতে। যার পরিণতিতে অকালেই ইতি পড়ে একটি শিশুর জীবন। পরিচালকদ্বয় প্রথম বারের মতো যৌথ পরিচালনায় কাজ শুরু করেন এবং এখন থেকে নিয়মিত ভাবে যৌথ পরিচালনায় কাজ করবেন সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে।