২০১৪ সালে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত আট মাসে ১৯৩টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে ৩০৪টি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল ও ৩৩৮টি চার্জশিটও অনুমোদন করেছে দুদক।
বুধবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
দুদক সচিব বলেন, গত আট মাসে দুদকে ৬৬৪০টি অভিযোগ জমা পড়ে কমিশন। কমিশনের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় ৫৮০৩টি আভিযোগ বাদ পড়ে এবং যাচাই বাছাই শেষে ৬৯১টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, ৬৯১টি মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত প্রতিবেদনের সংখ্যা ৭৬টি বলে তিনি জানান। এর মধ্যে গত আট মাসে মামলা নিষ্পত্তি সংখ্যা ১২৩টি সাজা হয়েছে ৪৪টি এবং খালাস সংখ্যা ৭৯টি।
এ সময় তিনি বলেন, গত আগস্ট মাসে মামলা দায়েরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ একই অভিযোগে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান ও কক্সবাজার-৪ এর সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন করে কমিশন।
এছাড়া আগস্ট মাসে ১৭টি মামলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন এবং এসব মামলায় ২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।