বিচার বিভাগের প্রতী ৯০ ভাগ মানুষের আস্থা আছে: প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগের প্রতি নাইন্টি পারসেন্ট প্লাস মানুষের আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি বলেন, ‘দেশের যেকোনও ইনস্টিটিউটের চেয়ে জুডিশিয়ারি একশ ভাগ বেটার। দেড় বছর পর বুক ফুলিয়ে বলতে পারি বিচার বিভাগের প্রতি ‘নাইন্টি পারসেন্ট প্লাস’ মানুষের আস্থা আছে।’

SHARE

বাংলাদেশ ডেস্ক:

বিচার বিভাগের প্রতি নাইন্টি পারসেন্ট প্লাস মানুষের আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি বলেন, ‘দেশের যেকোনও ইনস্টিটিউটের চেয়ে জুডিশিয়ারি একশ ভাগ বেটার। দেড় বছর পর বুক ফুলিয়ে বলতে পারি বিচার বিভাগের প্রতি ‘নাইন্টি পারসেন্ট প্লাস’ মানুষের আস্থা আছে।’

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দিয়ে সংবিধানের আনিত ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির ৬ষ্ঠ দিনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মধ্যে বেশকিছু কথা হয়। এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল কোর্ট সম্পর্কে বিচারপ্রার্থীদের মনোভাব নিয়ে গণশুনানি করার কথা বললে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি বাঁশখালি চৌকি আদালতে গিয়েছি। সেখানে চৌকি আদালতে যতজন বিচারপ্রার্থী আসেন ডিসি অফিসেও ততজন আসেন না।’ এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আই অ্যাম নট হ্যাপি।’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি চেয়েছে যাদের লেখাপড়া ও যোগ্যতা আছে তাদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে। কিন্তু দেড়বছরেও নিয়োগ হয়নি। আপনারা যেটা চাচ্ছেন সেটা আপনিও জানেন, সবাই জানে।’

এর আগে সকাল ৯টার কিছু পরে ৬ষ্ঠ দিনের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানে হাত দিতে পারেন না, যোগ করা যেতে পারে।’ এসময় আদালত বলেন, ‘জুডিশিয়াল ইম্প্রুভমেন্ট থাকবে না? জুডিশিয়াল রিভিউ থাকবে না? সংবিধানের এ টু জেড আমরা ব্যাখ্যা করবো জনগণের অধিকারের প্রশ্নে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে।’

এর আগে গত ৮ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ৯ মে শুনানি শেষে ২১ মে পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে ২১ মে রবিবার থেকে ধারাবাহিক ভাবে শুনানি চলছে। বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শেষ করলে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরশেদ তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছেন।

উল্লেখ্য, গতবছর ৫ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়। প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভম্বর ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান আদালত।