প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তি না হলেও চুক্তিটা ঠিক কবে হচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানতে চাইবে বাংলাদেশ। শনিবার সকালে এখানকার হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ বৈঠকে তিস্তার পাশাপাশি পানিসম্পদ খাতে সহযোগিতার জন্য গঙ্গা ব্যারাজ তৈরি ও অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনাতেও বাংলাদেশ গুরুত্ব দেবে।
খসড়া সূচি অনুযায়ী, শনিবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শেখ হাসিনা
র দিল্লি সফরের আনুষ্ঠানিক পর্ব। এখানে তাঁকে স্বাগত জানাবেন নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। এরপর হায়দরাবাদ হাউসে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনা একান্তে আলোচনা করবেন। ওই আলাপচারিতা শেষ করে দুই প্রধানমন্ত্রী বসবেন শীর্ষ বৈঠকে। ওই বৈঠকে পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা, ঋণ, মহাকাশ, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে অন্তত ৩০টির মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
অনুষ্ঠানের পরের পর্বে মোড়ক উন্মোচন হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র হিন্দি সংস্করণের। বাংলা থেকে আত্মজীবনীর হিন্দি অনুবাদ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুপুরে তাঁর সম্মানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে শেখ হাসিনা দিল্লি সেনানিবাসের মানেকশ’ সেন্টারে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকৃত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাত সদস্যের পরিবারের হাতে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা তুলে দেবেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। রাতে তিনি ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করতে যাবেন।
আগামী রোববার শেখ হাসিনা আজমির শরিফ যাবেন এবং বিকেলে কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেখা করবেন। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে শেখ হাসিনা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর শেখ হাসিনার সম্মানে দেওয়া রাষ্ট্রপতির এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।
সেখানে অন্যদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও যোগ দিচ্ছেন। শুধু রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজেই নয়, শনিবার দুপুরে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজেও যাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। ফলে দুই দিনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফা দেখা হচ্ছে মমতা ব্যানার্জির। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শুক্রবার রাতে কলকাতা থেকে দিল্লিতে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।