ছাত্রলীগের নামে জঙ্গিবাদে জড়ালে উপযুক্ত শাস্তি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

SHARE

কেউ ছাত্রলীগের নাম নিয়ে জঙ্গিবাদে জড়ালে তাকে উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ময়মনসিংহে উগ্রবাদী সন্দেহে আটক সাতজনের মধ্যে একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগর নেতাও রয়েছে জানিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত জঙ্গিদের মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগ নামধারী কেউ এখনো জঙ্গি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্র করে জঙ্গিবাদে নতুনভাবে ছাত্রলীগের নাম ঢুকায় তবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেন্টার ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার সিসি ক্যামারার আওতাধীন মনিটরিং সেন্টার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এরপর জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জঙ্গিবাদ নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, জঙ্গিরা এখন শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বের আতংক।
সারাবিশ্ব আক্রান্ত হলেও দেশে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গিরা যখনই কিছু করার অপচেষ্টা করেছে তখন জনগণই তাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের কোনো দল নেই, যারা জঙ্গি তৎপরতা বা ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা জানতে চান ময়মনসিংহে আটক উগ্রবাদীরা পহেলা বৈশাখে হামলার পরিকল্পনা করছিল কি না।
এর জবাবে তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎসবের পরই পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। জানমালের কোনো ক্ষতি না করেই মানুষের সহযোগিতায় ময়মনসিংহের পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গিদের ধরতে সক্ষম হয়েছে।
পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এদিন জনগণের নিরাপত্তার জন্য মোটরবাইকে একজনের বেশি উঠা নিষেধ করা হয়েছে। বিকাল ৫টার পরই সব ধরণের অনুষ্ঠান সমাপ্ত করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ জীবন দিয়ে জঙ্গিদের প্রতিহত করায় তাদের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্টমন্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত এবং ময়মনসিংহ শহরজুড়ে প্রায় চারশ’ সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, প্রথমে ঢাকাকে স্মার্ট সিটিতে পরিনত করা হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এতে করে যে কোনো ঘটনা-দুর্ঘটনা শনাক্তকরণ এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।
ময়মনসিংহের কর্মসূচি শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেত্রকোণার উদ্দেশে রওনা দেন।
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।