তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা, তদন্তের নির্দেশ

SHARE

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কুলাঙ্গারদের নেত্রী’ বলায় বাদীর মতে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। এজন্য বাদী সোমবার সকালে দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারার অপরাধেimage_97401_0

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এরফান উল্লাহর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন। পরে তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পল্টন থানাকে নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, গত ২৪ আগস্ট লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটিতে তারেক রহমান এক আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ নেতারা কুলাঙ্গার এবং শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’ বলে বক্তব্য দিয়েছেন। যা গত ২৬ আগস্ট দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ‘শেখ হাসিনা কুলাঙ্গারদের নেত্রী’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন’ বলে দাবি করেন। যা বাদীর অভিযোগ মতে মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই বক্তব্য বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। একই দিনে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকারকরা তেলবাজ’ শিরোনামে তারেক রহমানের আরো একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এছাড়াও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এক বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেন বাদি। এছাড়া ‘খন্দকারের কথায় আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠের ৩নং পাতায় এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়। যা বাদীর মতে মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।বাদী তার দলীয় অফিসে ২৬ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৬ সেপ্টেম্বর এই সংবাদগুলো পড়ে বিস্মিত ও হতবাক হন।
এছাড়াও বাদী অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন সময়ে গার্ড অব অনার প্রদান করেছেন জেনেও তারেক রহমান লন্ডনে বসে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং মির্জা ফখরুল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।