অভিনব পন্থায় রিমোট অ্যাকসেস পদ্ধতি ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় চলছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা। এ পদ্ধতিতে ল্যাপটপে টিম ভিউয়ার নামক একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ব্যবহার করে ভিওআইপি`র সরঞ্জামাদি স্থাপন করছে। শুধু তাই নয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে দূরবর্তী অঞ্চল থেকেও তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্স ব্যতীত ভিওআইপি ব্যবসা করা সম্পূর্ণ অবৈধ। রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে অনুমোদনহীন এসব ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করছে। ডার ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হাড়াচ্ছে সরকার।
সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে প্রায় ৯০ লক্ষ জনশক্তি বিদেশে রয়েছে, এছাড়া এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে প্রবাসীদের এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বৈদেশিক কল থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
সম্প্রতি রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মেজর মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে গত রোববার রাতে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা রোডস্থ বাড়ী নং-ক/৩, এফ/২ মদিনা মঞ্জিলের ৫ম তলায় অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় অবৈধ ভিওআইপি সামগ্রীসহ বিভিন্ন কোম্পানির ১ হাজার ৮৭৯টি সীম কার্ড, ৩২ পোর্টের ৪টি ভিওআইপি সেট, ভিওআইপি অ্যান্টিনা ৩৪টি, নেট বুক ৩টি, একটি ল্যাপটপ, একটি ইউপিএস, আইপিএস ১টি, মোবাইল ১০টি, ওয়ারলেস রাউটার ১২টি ও ৪টি পোটেবল লিংক উদ্ধার করা হয়।
অবৈধ এ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফয়েজুল্লাহ রিয়াদ (২৬), মোকলেছুর রহমান (৩৬) ও সাইফুল ইসলাম (২৫) নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এ ব্যাপারে র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মো. দিদারুল আলম বলেন, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কারণে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা চোরাকারকারীদের পকেটে যাচ্ছে। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধ করার লক্ষ্যে র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি আরো জানান, সম্প্রতি রিমোট অ্যাকসেস পদ্ধতি ব্যবহার করছে ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা। এই পদ্ধতিতে একটি সফটওয়্যার ল্যাপটপে ব্যবহার করে যে সব জায়গায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট রয়েছে সেখানে ভিওআইপি এর সরঞ্জামাদি স্থাপন করে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করছে।
চক্রটির প্রধান অর্থদাতা এক কুয়েত প্রবাসী। বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে তারা বছরে ২ কোটি টাকার সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছিল।
ভবিষ্যতে এ ধরণের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।