নতুন বছরে করের আওতা বাড়াবে এনবিআর

SHARE

1355২০১৬ সালে করের আওতা বাড়াতে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর করের পরিমাণ না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানো দিকেই বেশি গুরুত্ব দিবে। আগের বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন নতুন করদাতাও খুঁজে বের করার মিশন থাকবে দেশের রাজস্ব আহরণকারী এই সংস্থাটির।

এ উপলক্ষ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন.  রাজস্ব আহরণে করের হার না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থ  বছরের শুরুতেই আসে এই নিদের্শনা। অর্থমন্ত্রী নিজেও করের আওতা বাড়ানোর পক্ষে। তাই রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে করের আওতা বাড়ানোর ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে এনবিআর। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রত্যেক উপজেলায় কর অফিস স্থাপন ও বাড়িওয়ালাদের করের আওতায় আনাসহ নানান উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপন নতুন কর অফিস স্থাপনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কর প্রদানে সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে করের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় বাড়াতে প্রত্যেক উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে। বর্তমানে ৬২টি উপজেলায় এ অফিস রয়েছে। খুব শিগগিরই সব উপজেলা তথা ৪৮৮টি উপজেলাতেই কর অফিস স্থাপন করা হবে।

এদিকে, সরকারি চাকরিজীবী বর্ধিত কাঠামোয় নতুন বেতন পাবেন রোববার। তাই এখান থেকে করের পরিমান বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, জাতীয় জীবনের সর্বত্র একটি রাজস্ব বান্ধব সংস্কৃতি সৃজন করার লক্ষ্যে বর্তমান রাজস্ব প্রশাসনের গৃহীত ‘সুশাসন ও উন্নততর ব্যবস্থাপনা নীতি’ বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দিবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয়ের প্রায় ৮৫ ভাগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আহরণ করে থাকে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের গুরুদায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। এ বৃহৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি সর্বজন স্বীকৃত চ্যালেঞ্জিং কাজ। একটি ‘পূর্ণাঙ্গ করদাতা-বান্ধব রাজস্ব প্রশাসন’ তৈরির লক্ষ্যে সব অংশীদারদের সমন্বিত ও পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।