আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষী অনুপস্থিত থাকায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ নিয়ে ১৩ দফা পেছানো হলো আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ।
এর আগে অভিযোগপত্র গঠনের সময়ও কারাগারে আটক থাকা আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে টানা ৯ দফা তারিখ পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকল আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেছিলেন আদালত।
গত বুধবারও একই কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সাক্ষী কিংবা আসামির অনুপস্থিতির কারণে দেশে-বিদেশে আলোচিত এই হত্যা মামলার সাক্ষগ্রহণের তারিখ পেছাচ্ছেই। ফলে হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পার হতে চললেও মামলার কোনো কুল-কিনারা হচ্ছে না।
সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান এর আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার সাক্ষ্যগ্রণের জন্য তারিখ ধার্য থাকলেও সাক্ষী না আসায় সাক্ষগ্রহণ হয়নি। আগামী ৬ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া কারাগারে আটক সব আসামি বৃহস্পতিবার এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মামলার অন্যতম আসামি হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নান, হবিগঞ্জের সাময়িক বরখাসস্তকৃত মেয়র জিকে গউছসহ ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া এ মামলায় জামিনে থাকা আরও আট আসামি সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসে হাজির ছিলেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। তবে গত ১০ ডিসেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অনুপস্থিতিতেই তিন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছিলেন আদালত।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, টানা ৯ দফা চার্জগঠনের তারিখ পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাবকে অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সকল আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জগঠন করা হয়।