বৃটিশ মূল্যবোধকে প্রাণ দিয়েছে ইসলাম

SHARE

সাবেক আর্চ বিশপ অব ক্যান্টারব্যারি ড. রোয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, “বৃটিশ সোসাইটির মূল্যবোধকে নতুন করে সঞ্জীবনী শক্তি এনে দিয়েছে ইসলাম। ধর্ম এমন এক শক্তি, যা কমিউনিটির দায়িত্ব, কর্তব্য ও সামাজিক মূল্যবোধকে একত্রিত ও একসূত্র গ্রথিত করে। আর ব্রিটেনের সোসাইটিতে ইসলাম সেই সব মূল্যবোধে নতুন শক্তির সঞ্চার করে দিয়েছে।”image_92828_0

শুক্রবার লিংকনশায়ারে বার্ষিক ইসলামিক ফেস্টিভ্যালে ব্রিটিশ ভ্যালুস ও মুসলমানরা কিভাবে প্রভাবান্বিত- এর উপর এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

ড. রোয়ান উইলিয়ামস বলেন, “বৃটিশ সোসাইটির সব চাইতে বড় বিস্ময় এই সোসাইটি ওপেন, অনেস্ট এবং ডিফিকাল্ট ডিসিকাসন করে ও গ্রহণ করে থাকে।”

সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার সময় ওপেন ডিসকাশন সেশনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ইসলাম কি ব্রিটিশ সোসাইটিতে রিস্টোর করেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. উইলিয়ামস বলেন, “হ্যাঁ। করেছে বলেইতো বার্মিংহামে ক্রিস্টিয়ান ও মুসলিম সোসাইটি একই স্থানে মস্ক ও স্থানীয় প্যারিস সার্ভিস সেবা প্রদান অত্যন্ত সুচারু ও সহনীয়ভাবে দিয়ে যাচ্ছেন। এখানে ফ্যামিলি ও ইয়থ সার্ভিস যৌথভাবেই প্রদান করা হয়-কমিউনিটির সহানুবস্থান ও সহমর্মিতার মাধ্যমে সমানভাবে।”

ইসলামিক সোসাইটি অব ব্রিটেনের উদ্যোগে এই সেমিনারে ড. রোয়ান উইলিয়ামসসহ বৃটেনের বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক স্কলার ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ওপেন ডিসকাশন, আলোচনা, বিতর্ক ও বক্তব্য উপস্থাপন করেন, যা হাজার হাজার উপস্থিত দর্শক গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন। দ্য টাইমস, গার্ডিয়ান সহ নামী দামী প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকও উপস্থিত থেকে বিতর্ক ও আলোচনায় অংশ নেন।

দ্য মাস্টার অব ম্যাগডানিল কলেজ ইন ক্যামব্রিজ বর্তমানে ক্রিস্টিয়ানিটি ও ইসলাম এর মধ্যে কমিউনিটি সম্প্রীতি এবং হারমোনি রক্ষার্থে কাজ করছে ও একই সঙ্গে প্রমোট করে চলেছে।

এর আগে গার্ডিয়ানে ড. উইলিয়ামস বৃটিশ ভ্যালুকে শুধু ধারণার মধ্যে না রেখে ইউনিভার্সাল ভ্যাল্যু হিসেবে দেখতে মন্তব্য করেছিলেন। ২০০৮ সালে ড. উইলিয়ামস ব্রিটিশ কমন ল-তে ইসলামিক শরীয়ার আইন এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। গার্ডিয়ান ও কিছু কিছু পত্র পত্রিকা এই স্থানে এসে বলছে ড. উইলিয়ামসের বক্তব্য স্ববিরোধী। উইলিয়ামস তাই আজকে বলছেন বৃটিশ ভ্যালু স্থাপন করার মানেই নয় যে অন্যান্য সকল ভ্যালুস ও ধর্মেরবিরোধী হতে হবে- তা ঠিক নয়।

ড. রোয়ান উইলিয়ামসের আজকের বক্তব্যে বৃটেনের কমিউনিটি ও মুসলমান স্কলারদের দ্বারা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তবে সেক্যুলার গ্রুপদের দ্বারা তীব্র সমালোচিত হয়েছেন একইভাবে।

এদিকে বৃটিশ প্রাইম মিনিস্টার ডেভিড ক্যামেরন বার্মিংহাম ট্রোজান হর্স ক্যালেংকারির পর স্কুলে অধিক হারে  বৃটিশ মূল্যবোধের লেসন এবং সেই সঙ্গে ম্যাগনা কার্টা ব্যাপকহারে পড়ানোর পক্ষে বৃটিশ মূল্যবোধকে তুলে ধারার জন্য প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

সানডে মেইলে এক নিবন্ধে ডেভিড ক্যামেরন লিখেছেন, ব্রিটিশ মূল্যবোধ সমূহকে আরো ব্যাপকহারে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে, সেটা ব্যক্তিগত, সামষ্ঠিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। তার এডুকেশন সেক্রেটারি মাইকেল গোভও একই সঙ্গে স্কুলের জিসিএসই সিলেবাসে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন- আমেরিকান ক্লাসিকস এর পরিবর্তে তিনি ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয় বস্তু সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।