আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় বসছে সাফ ফুটবলের ১১তম আসর। আসন্ন সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এ আসরে অংশ নেওয়ার জন্য রোববার সকালে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে ২০ সদস্যের বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
সর্বশেষ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয় বাংলাদেশের। তবে এবার শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক এবং অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।
কোচ মারুফুল হক জানালেন, ‘এবার আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। দল নিয়ে গত ১৮-২০দিন যেভাবে কাজ করেছি, যেভাবে অনুশীলন করিয়েছি- তাতে আমার আত্মবিশ্বাস এবার আর খালি হাতে ফিরে আসবে না বাংলাদেশ ফুটবল দল।’
কোচ মারুফুল হকের যুক্তি- ‘সাফ অঞ্চলের দেশগুলো কেমন ফুটবল খেলে তা আমাদের সবারই জানা। তাদের স্ট্যান্ডার্ড, তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তাছাড়া প্রতিপক্ষ দলগুলো নিয়ে আমরা অনেক বিশ্লেষণ করেছি। আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ভূটানের খেলার ভিডিও রিচার্স করেছি। বেশ কয়েকটা সেশন কাটিয়েছি আমরা তাদের খেলা বিশ্লেষণ করা নিয়ে। তাদের দুর্বলতাগুলো বের করার চেষ্টা করেছি। যেগুরো বের হয়েছে, আমরা সেগুলোতেই আঘাত করার চেষ্টা করবো। তবেই হয়তো আমাদের সাফল্য আসবে।’
‘সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশি’- বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকাপের মত। এ দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ লক্ষ্যই থাকে সাফ জয় করা। কিন্তু গত কয়েকটি সাফেই বাংলাদেশ ফিরেছে খালি হাতে। প্রতিবারই খেলতে যাওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়, এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরবো। দ্বিতীয় হবো না। ধারাবাহিকতা এবারও থাকলো; কিন্তু ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভারতের ত্রিবান্দ্রামে শুরু হতে যাওয়া আরও একটি আসরে গ্রুপ পর্বেই চোখ রাঙাচ্ছে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ। তারপরেও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম এবং কোচ মারুফুল হক চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারছেন না।
সাফে বাংলাদেশের মিশন অবশ্য শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান। ২৬ ও ২৮ ডিসেম্বর বি গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশ যথাক্রমে মোকাবেলা করবে মালদ্বীপ ও ভুটানের।