পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কেটে গেছে ২ সেপ্টেম্বর।এখনও পর্যন্ত ক্রিকেট মাঠে নামতে পারেননি সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের মধ্যে মোহাম্মদ আমির ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফিরেছেন গত বছর জানুয়ারিতে। সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমির খেলতে এসেছেন বাংলাদেশের বিপিএলেও। অথচ এখনও মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না বাট-আসিফ।
তবে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আগামী বছরের প্রথম থেকে মাঠে নামার অনুমতি পাবেন বাট-আসিফ। আবারও পাকিস্তানের ঘরোয়া লিগে খেলতে পারবেন তারা দু’জন। পিসিবি যখন তাদের দু’জনকে মাঠে নামানোর বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করছে, তখনই নতুনকরে ঝামেলায় জড়িয়ে গেলেন সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফ।
কারণ, পিসিবির অনুমতি না নিয়েই মাঠে নেমে পড়ছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। পাকিস্তানের প্রথম শ্রেনীর টুর্নামেন্ট কায়েদে-ই আজম ট্রফিতে ওয়াপদা তাদের দলে অন্তর্ভূক্ত করে নেয় সালমান বাট এবং মোহাম্মদ আসিফকে। তবে ঝামেলা তৈরী হয়েছে, পিসিবির অনুমতি না নিয়ে তাদের দু’জনের নাম সেরা একাদশে রাখার পর।
ইসলামাবাদে পরস্পর মুখোমুখি ওয়াপদা এবং খান রিচার্স একাডেমি। ম্যাচ শুরুর আগে যখন দু’দলের অধিনায়ক টস করতে নামবেন, তখন ওয়াপদার একাদশের তালিকা দেখে বেঁকে বসেন খান রিচার্স ল্যাবরেটরির অধিনায়ক সাঈদ আনোয়ার। তিনি নিজ দলের কর্মকর্তারকে বিষয়টি অবহিত করেন।
খান রিচার্স ল্যাবরেটরি ওয়াপদার কাছে বাট-আসিফের খেলার ব্যাপারে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট তালাশ করে; কিন্তু ওয়াপদা সেই সার্টিফিকেট না দেখিয়ে বরং, তারা যে পিসিবির কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছিল সেটা দেখান। ম্যাচ রেফারি খালিদ নিয়াজি সেই চিঠি প্রত্যাখ্যান করে জানান, পিসিবির অনুমতির পাওয়ার বিষয়ে এটা যথেষ্ট নয়। তার ওপর এই দু’জন এখনও পিসিবির রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের অধীনে রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সালমান বাট আর মোহাম্মদ আসিফকে বাদ দিয়েই নতুন করে একাদশ সাজাতে হলো ওয়াপদাকে।