ঢাকা: শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নেতা থেইন সেইন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
এর আগে বুধবার (১১ নভেম্বর) থেইন সেইনকে আলোচনার আহ্বান জানান এনএলডি নেতা অং সান সু চি। এ সময় জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন এই নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী।
বুধবার পর্যন্ত মায়ানমারের নির্বাচন কমিশন (ইউইসি) দেশটির তিন স্তরের সংসদের নিম্নকক্ষের ১৫১টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে। এতে ১৩৫টিই গেছে এনএলডি’র ঝুলিতে। সেই সঙ্গে উচ্চকক্ষের ঘোষিত ৩৩টি আসনের মধ্যে দলটি ২৯টিতে জয় পেয়েছে। এছাড়া প্রাদেশিক সভার ঘোষিত ২১২টি আসনের মধ্যে ১৮৪টিতে জয় নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, বুধবার সুখবর প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা ঘটেছে সু চি সমর্থকদের। এনএলডি’র এই নেত্রী তার নিজ আসনে জয় পেয়েছেন বলে এদিন ফল ঘোষণা করে ইউইসি।
তবে দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবং নিজ আসনে জয় নিশ্চিত করলেও মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে অং সান সু চি’র বাধা এখনও কাটেনি। দেশটির সাংবিধানিক বিধি-নিষেধের কারণে তিনি এ পদের প্রার্থী হতে পারবেন না।
মায়ানমারের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিদেশি কোনো নাগরিকের সন্তান, পিতামাতা কিংবা স্বামী-স্ত্রী দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চি’র দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
তবে এ বাধাকে কোনো বাধা হিসেবেই মানছেন না সু চি। নির্বাচনের আগেই তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলে রেখেছেন, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্টকেও টপকে যাবেন তিনি। এ ব্যাপারে সংবিধানে কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সু চি আসলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও তিনি দেশটির সরকার পরিচালনার নেতৃত্বে থাকবেন।