নতুন সরকারের প্রথম বাজেট পাস হচ্ছে

SHARE

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট বিরোধিতা ছাড়াই পাস হচ্ছে। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পূর্ণ সমর্থনেই প্রথমবারের মতো বাজেট পাস হবে। সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হবার পর এবারই প্রথম বিরোধী দলের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে কোনো বাজেট পাস করছে সরকার।image_88427_0

বাজেট পাস উপলক্ষে সংসদ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বাজেট পাসের দিন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদসহ অধিকাংশ সংসদ সদস্যই উপস্থিত থাকবেন। নতুন এই বাজেট ১ জুলাই থেকে কাযর্কর হবে।

রোববার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী শুরুতেই রয়েছে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা টেবিলে উত্থাপন। এরপর প্রস্তাবিত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেটের ছাটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা। গত ৫ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে আকার ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।

এর আগে শনিবার ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের অর্থ বিলপাস হয়। এদিন সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু সংশোধনী আনা হয়। শনিবার বাজেটে সংশোধনী এনে করমুক্ত আয়ের সীমা দুই লাখ ২০ হাজার থেকে বেড়ে দুই লাখ ৫০ হাজার করা হয়। শনিবার অর্থ বিলে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন নতুন অর্থবছরে খাদ্য পণ্যের দাম কিছুটা কমবে।

প্রস্তাবিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। ট্রেজারি বন্ডে ১০ শতাংশ জরিমানা, আবাসন খাতে জরিমানা ছাড়া সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ‘গোপনে’ রাখা অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) জরিমানা দিয়ে সাদা করা যাবে।

অর্থ আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করলে বিনিয়োগকৃত অর্থ বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়ার বিধান করা হয়।

প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের ওপর পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করমুক্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তবনা অনুযায়ী মোবাইল ফোন আমদানির ওপর কর‍ারোপ বাদ দিয়ে ব্যবহারের ওপর সারচার্জ আরোপ করা হচ্ছে।

গত ৫ জুন জাতীয় সংসদে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর বাজেটের উপর প্রায় ৬০ ঘণ্টা আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। রোববার সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে।

দশম সংসদের পথচলা শুরু হয় গত ২৯ জানুয়ারি। প্রথম অধিবেশন শেষ হয় ১০ এপ্রিল। দ্বিতীয় অধিবেশন এবং প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয় ৩ জুন, চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত।