অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়া গত অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ড দলে জো রুটও ছিলেন। আট ইনিংস খেলে মাত্র একটি ফিফটি করতে পেরেছিলেন তিনি। সেই জো রুট এবারের অ্যাশেজ সিরিজে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই তুলে নিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। আর তার সেঞ্চুরিতে মাত্র ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া ইংল্যান্ড বেশ ভালোমতোই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার কার্ডিফে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান। দলকে ১৩৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন রুট। দিন শেষে মঈন আলী ২৬ রানে অপরাজিত আছেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রড অবশ্য রানের খাতা খুলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
দিন শেষে হয়তো হতাশায় পুড়ছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্র্যাড হাডিন। কারণ, তার হাতেই যে রানের খাতা খোলার আগেই একবার জীবন ফিরে পেয়েছিলেন রুট। শূন্য রানে জীবন পেয়ে সেই রুটই দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ভোগালেন অসিদের। অথচ টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে দিনের শুরুটা দারুণ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার।
স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান জমা করতেই ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান সফরকারী বোলাররা। দলীয় ৭ রানে অ্যাডাম লিথকে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে শুরুর ধাক্কাটা দিয়েছিলেন পেসার হ্যাজেলউড। গালিতে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ রান করা লিথ।
এরপর ইনিংসের ১৪ ও ১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন স্পিনার নাথান লায়ন ও হ্যাজেলউড। দলীয় ৪২ রানে লায়নের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল অ্যালিস্টার কুকের ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় উইকেটরক্ষক হাডিনের গ্লাভসে। ২০ রান করে বিদায় নেন ইংলিশ অধিনায়ক। পরের ওভারেই নতুন ব্যাটসম্যান ইয়ান বেলকে সাজঘরের পথ দেখান হ্যাজেলউড। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন বেল। মাত্র ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন মহাবিপদে ইংল্যান্ড।
তবে চতুর্থ উইকেটে গ্যারি ব্যাল্যান্স ও রুটের ১৫৩ রানের চমৎকার এক জুটিতে বিপদ কাটিয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ৬১ রান করে হ্যাজেলউডের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ব্যাল্যান্স। তার বিদায়ের একটু পরেই সেঞ্চুরি পূরণ করেন রুট। পঞ্চম উইকেটে বেন স্টোকসের সঙ্গে ৮৪ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়ে রুট বিদায় নেন। স্টার্কের বলে স্লিপে শেন ওয়াটসনের ক্যাচে পরিণত হন রুট। ১৩৪ রানের ইনিংসে ১৭টি চার মারেন তিনি।
এরপর দলীয় ২৯৩ রানে ষষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন স্টোকস। স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। সপ্তম উইকেটে মঈন আলীর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন জস বাটলার। হ্যাজেলউডের বলে মিচেল জনসনকে ক্যাচ দেওয়ার আগে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান করেন ২৭ রান। বাটলারের বিদায়ের পর ব্রডকে সঙ্গে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন মঈন আলী।