স্মার্টফোনের ফলে আপনি ‘আন-স্মার্ট’ হয়ে পড়তে পারেন। মার্কিন সমীক্ষায় উঠে এলো এই তথ্য।
স্মার্টফোনের ব্যবহার মানুষের শেখার ক্ষমতার পক্ষে ক্ষতিকারক। এমনই জানালেন মার্কিন গবেষকরা। দীর্ঘ এক বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ওপর পরীক্ষা করে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
যত দিন যাচ্ছে, স্মার্টফোন মানব-জীবনে সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পড়ছে। আজকালের দুনিয়ায় আট থেকে আশি-সব বয়সের মানুষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে স্মার্টফোন। স্কুল হোক বা কলেজ, অফিস হোক বা ঘর-স্মার্টফোনের রাজত্ব সর্বত্র। যার জেরে এখন বিশ্ববাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা সব পণ্যের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
এই সমীক্ষার অন্যতম গবেষক তথা সহকারী সম্পাদক হিউস্টনের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিপ কোর্তুম জানিয়েছেন, স্মার্টফোন প্রযুক্তি বিশ্ববাজারে ছেয়ে গিয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেখা, যে ছাত্রদের অতীতে স্মার্টফোন ব্যবহার করার কোনও অভিজ্ঞতা নেই, স্মার্টফোন পাওয়ার পর তাদের পড়াশোনার ওপর কী প্রভাব পড়ে।
ফিলিপ জানান, ২০১০ থেকে ২০১১ – এই এক বছর ব্যাপী সমীক্ষার জন্য টেক্সাসের একটি গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন প্রথমবার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। প্রথমে তাদের কিছু প্রশ্ন করা হয়। একইসঙ্গে জানার চেষ্টা করা হয় যে, স্মার্টফোন হলে তাদের পড়াশোনায় কী বদল আসতে পারে। অধিকাংশই জানায় যে, স্মার্টফোনের ফলে তাদের হোমওয়ার্ক ও পরীক্ষার পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পাবে এবং তারা ভাল গ্রেড বা স্কোর করতে সক্ষম হবে।
এরপর তাদের সকলকে স্মার্টফোন দেওয়া হয়। কিন্তু, তার উপকারিতা বা উপযোগিতা সম্পর্কে কোনো পাঠ দেওয়া হয় না। এক বছর পর তাদের ফের কিছু প্রশ্ন করা হয়। পরীক্ষার ফল থেকে কোর্তুম জানান, নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে তা ফলপ্রসূ হয়, একজন ব্যক্তির শেখার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয় না। ফলে স্মার্টফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার একজন ব্যক্তিকে কার্যত ‘মূর্খ’ বানিয়ে দেয়।
কোর্তুমের মতে, স্মার্টফোনের মাধ্যমে কী শেখা যায়, সেটা কাউকে না শেখানো হলে তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহটাই তৈরি হবে না। উল্টো তাদের জানার ক্ষমতার পক্ষে ক্ষতিকারক প্রমাণিত হবে।