সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বহিষ্কার-সংক্রান্ত চিঠি স্পিকারের দপ্তরে পেঁৗছেছে। হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় আট মাস আগে মন্ত্রিসভার সদস্যপদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ হারান তিনি। গত রোববার আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি তিনি পেয়েছেন। ওই চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। স্পিকার জানান, শিগগিরই আইন অনুযায়ী তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত কোনো এমপিকে সংশ্লিষ্ট দল বহিষ্কার করলে স্পিকারকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানাতে হয়। স্পিকার ওই চিঠি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেবেন। নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত ফের চিঠি দিয়ে জানালে স্পিকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
দল থেকে বহিষ্কারের কারণে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ থাকবে কি-না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অবশ্য বলেছেন, দল থেকে বহিষ্কার হলেও স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে সংসদের আসন টিকে থাকবে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, এর আগে দল থেকে বহিষ্কারের কারণে একাধিক এমপি সদস্যপদ হারিয়েছেন। আবার অনেকের সদস্যপদ টিকে গেছে। দুই ধরনের নজিরই রয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কী হবে_ প্রশ্নে স্পিকার বলেন, আইনগত বিষয় পর্যালোচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্ম, হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এর জের ধরে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তাকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত হন।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয় লতিফ সিদ্দিকীর। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ওই সময় দলীয় সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানিয়ে বলেন, এ সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণী দ্রুতই নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। পরবর্তী সময়ে স্পিকারের দপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফ।