পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ

SHARE

assaduzzamanপহেলা বৈশাখে টিএসসি এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পহেলা বৈশাখে এতো বেশি মানুষের সমাগম হয় যে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল।

এ সুযোগে কিছু দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককেই আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে কতগুলো বিধিনিষেধ, নিয়মকানুনের কথা বলেছিল‍াম। কিন্তু এতো বেশি মানুষের সমাগম হয় যে, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। এই সুযোগেই দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, নারী লাঞ্ছনার ঘটনা অবশ্যই দুঃখজনক। সেদিনের ঘটনা আমরা পুরোপুরি বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ সবই করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যারা চিহ্নিত হয়েছে, অপকর্ম করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

যারা এসব অপকর্ম করেছে তাদের আইনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। বাকি দুই একজনকেও আটক করা হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘাটে সেজন্য নজরে রেখেছি।

স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবপাচারকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা পাচারকারী চক্র চিহ্নিত করেছে। ইতোমধ্যে কিছু পাচারকারী আটক করা হয়েছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মানবপাচার অনেক কমে গেছে বলে সংসদকে জানান প্রতিমন্ত্রী।

অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবপাচার বন্ধে আইন আছে এবং গুরুদণ্ডের ব্যবস্থাও আছে। আইন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই আইনের সংশোধনী আছে বলে আমি মনে করিনা। মানবপাচার বন্ধে কোস্ট গার্ডসহ সব বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার এলাকায় দৃঢ়ভাবে তৎপর আছে।