‘ইসলামিক স্টেট আমার ভাইকে বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছে’

SHARE

latif iযুক্তরাজ্যের লুটন শহর থেকে নিখোঁজ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পরিবারটি ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে বলে জঙ্গি সংগঠনটির দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ওই পরিবারের প্রধান আবদুল মান্নানের ভাই আবদুল লতিফ বলেছেন তাদের এধরনের বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

সিলেট থেকে আবদুল মান্নানের ভাই আবদুল লতিফ বলেছেন ”এটা মানা যায় না। ভাইকে হয় জোর করে এটা করানো হয়েছে অথবা এটা অসত্য।”

তিনি বলেছেন ভাইয়ের সাথে তার যখন আলাপ হয়েছে তখন তিনি তাকে বলেছেন ”তার এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে পরিস্থিতি তার ক্ষেত্রে হলে তিনিও যেতে বাধ্য হতেন।”

তবে কোথাও যাওয়ার কথা তিনি বলছিলেন তা তিনি জানতে পারেন নি বলে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান।

আবদুল লতিফ বলেন তার ভাই চলে যাওয়ার পনের বিশ দিন পরে তার সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলাপের সময় একথা বলেছেন। এর আগে শুক্রবারই বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেছিলেন তার ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল ২১ মে তারিখে।

আগে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লুটন প্রবাসী আবদুল মান্নানের পরিবারের ১২ জন সদস্য বাংলাদেশে এক মাস ছুটি কাটিয়ে দেশ ছাড়েন ১১ মে তারিখে।

মি: লতিফ বলেন সংক্ষিপ্ত আলাপের সময় তার ভাই বলেন তিনি ভালো আছেন। তাদের সম্পর্কে চিন্তা না করতে।

কী ধরনের পরিস্থিতির কারণে তাকে বাধ্য হয়ে আর কোথাও যেতে হতে পারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার বড় ভাই তাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চান নি।

লতিফ বলেন এক মাস সিলেটে গ্রামের বাড়িতে থাকা কালে তার ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক বৈষয়িক আলাপ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কথা হয় নি এবং অস্বাভাবিক কোনো কিছুই তিনি লক্ষ্য করেন নি।

তবে তিনি বলেন তার ভাতিজীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি উগ্রপন্থী বলে তার মনে হয়েছিল।

তিনি বলেন বিশেষ করে তার ভাতিজী রাজিয়া বাংলাদেশে খুব গরমের মধ্যেও যেভাবে সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখত এবং সবাইকে পুরো পর্দা করার পরামর্শ দিত তা তার কাছে কিছুটা অস্বস্তিকর মনে হতো।

লুটনের বাসিন্দা ১২ সদস্যের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই পরিবারটি গত দেড় মাস ধরে নিখোঁজ ছিল।– বিবিসি