চট্টগ্রামে রেল সেতু ভেঙে বোয়ালখালী খালে পড়ে যাওয়ার ১১ দিন পর বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন। তবে এখনো উদ্ধার হয়নি রেল ইঞ্জিন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোজাম্মেল হক জানান, বেসরকারি সংস্থা মেসার্স মাঈনুদ্দিন সালভেজের সহায়তায় খালে পড়ে যাওয়া তিনটি তেলবাহী ওয়াগন উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কিন্তু ইঞ্জিনের ওজন বেশি হওয়ায় সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনের ওজনের চেয়ে দ্বিগুণ ভারবাহি দুটি ক্রেনের সাহায্যে রেল ইঞ্জিনটি উদ্ধার করা হবে বলে জানান তিনি।
মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেলক হক আরো জানান, ভেঙে যাওয়া বোয়ালখালী রেল সেতুটি পুরোপুরি পুনর্নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রেল ইঞ্জিনটি উদ্ধারের পর আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেতুর ওপর দিয়ে দোহাজারী-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জোবেদা আকতার বলেন, খালে পড়ে যাওয়া ওয়াগনগুলো উদ্ধার করে একটি ওয়াগন ইতিমধ্যে ‘অন রেল’ করা হয়েছে। ওজনে বেশি থাকায় ইঞ্জিনটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। এটি উদ্ধারে ইতিমধ্যে বিশেষায়িত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এটিও আশা করি তুলতে পারবো। বর্তমানে যে ক্রেনটি আছে তার ওজন ৪০ টন আর ইঞ্জিনের ওজন ৬২ টন। আরেকটি ক্রেন আসলেই দ্রুত কাজ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা এলাকায় রেলের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে তেলবাহী ট্রেনের ৩টি ওয়াগন ও রেল ইঞ্জিন খালে পড়ে যায়। এতে বিপুল পরিমাণ ফার্নেস অয়েল কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ দূষণের সৃষ্টি করে। দুর্ঘটনার পর পরই রেলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী-১ কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেতু ধসের ঘটনায় রেলের দুই প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।