বিশ্বক্রীড়া সাংবাদিক দিবস আজ। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখকসমিতি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ১৯২৪ সালের ২ জুলাই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (এআইপিএস) যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ১৬৭টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য।
বাংলাদেশে এর একমাত্র স্বীকৃত সংস্থা বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি। বিশ্বের ক্রীড়া সাংবাদিকদের এক কাতারে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সাল থেকে ২ জুলাই এআইপিএসর জন্মদিনকে স্মরণ করে সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্বক্রীড়া সাংবাদিক দিবস।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষেত্র অনেকটা সীমিত থাকায় ক্রীড়া সাংবাদিকতার পরিধিও ছিল সীমিত। তবে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত কিছু সাফল্যে এ অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে আলাদা করে ভাবার সুযোগ পেয়ে যায়।
এর মধ্যে ১৯৫৮ সালের ব্রজেন দাসের ইংলিশ চ্যানেল জয়, নুরুন্নবী চৌধুরীর পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হওয়া, ১৯৫৯ সালে আগাখান গোল্ডকাপে ঢাকা মোহামেডানের শিরোপা জয় অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
১৯৬২ সালে গঠিত হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ক্রীড়ালেখক সমিতি। ১৯৭১-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছর আত্মপ্রকাশ ঘটে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির।
১৯৯২ সালে সমিতির সে সময়ের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আলম বাবুর চেষ্টায় সমিতি এশিয়ান স্পোর্টস প্রেস ইউনিয়নের (আসপু, বর্তমানে এআইপিএস এশিয়া) সদস্য হয়।
২০১২ সালে সমিতি তার প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন করেছে। সমিতির মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকরা প্রবেশ করছেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে।