খালেদাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ইস্যু গঠন ১৪ জুলাই

SHARE

khaledaসোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা ‍জিয়াসহ ১৪ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠনের জন্য ১৪ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার ইস্যু গঠনের নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস পরবর্তী এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় ইস্যু গঠনের জন্য দিন ধার্য় ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা সমনের জবাব দিতে না পারায় তার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।

এ মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার মামা প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের ছেলে শামস ইস্কান্দার ও সাফিন ইস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া ইস্কান্দার ও স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন (অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে), মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার, মাসুদ হাসান। আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। এর পর ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর করে।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বার বার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।

২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।