বাংলাদেশে সিলিন্ডার গ্যাস বাড়ছে

SHARE

cilindarবাংলাদেশে আগামী তিন বছরের মধ্যে আবাসিক খাতের ৭০ শতাংশ বাড়িতে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে সিলিন্ডার গ্যাস দেয়ার একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, গ্যাসের বর্তমান মজুত আগামী ১৬ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এবং এখনই গ্যাসের রেশনিং করা হচ্ছে।

এই জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে নতুন গ্যাস খোঁজা ও আমদানির দিকে সরকার নজর দিয়েছে বলে জানান হামিদ।

বর্তমানে গ্যাসের যে মজুত রয়েছে এবং যে হারে তার ব্যবহার হচ্ছে, তাতে করে ২০৩১ সালের পর প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত ফুরিয়ে যাবে বলে মনে করছেন নসরুল হামিদ। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে।

বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই সতর্কবাণী দিচ্ছিলেন যে বাংলাদেশের ভূমি এলাকায় নতুন করে বড় ধরনের গ্যাস মজুদ আবিষ্কারের সম্ভাবনা একেবারেই কমে গেছে, ফলে গ্যাসনির্ভর অর্থনীতি বিপাকে পড়তে পারে।

নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানির এই সম্ভাব্য সংকট সম্পর্কে সরকার অবহিত রয়েছে, আর সে কারণে একটি মাস্টার-প্লান নেয়া হয়েছে ভবিষ্যতের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে। তিনি বলেন, জোর দেয়া হয়েছে মূলত সমুদ্রে গ্যাস খোঁজা এবং আমদানির দিকে।
বাংলাদেশে আবাসিক কিংবা শিল্প, যেকোনো কিছুর জন্যেই নতুন গ্যাস সংযোগ পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার বলেই অনেকে জানেন।
নসরুল হামিদ বলছেন, সরকার আবাসিক খাতে পাইপলাইনে সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করতে চায়। এ লক্ষ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তাতে এখনো সায় দেয়নি।

তবে আগামী তিন বছরের মধ্যে বাসাবাড়িতে সিলিন্ডারে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস সরবরাহের এই অ্যাকশন প্লান নেয়া হয়েছে বলে জানান মি. হামিদ।

আগামী বছরগুলোতে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে বাংলাদেশকে ১৬ বছর পরে হয়তো নির্ভর করতে হবে আমদানি করা গ্যাসের ওপর।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলছেন, এ নিয়ে সরকারের খুব একটা উদ্বেগ নেই, কারণ জাপান কিংবা ইউরোপের অনেক দেশ গ্যাস আমদানি করেই অর্থনীতির চাহিদা মেটাচ্ছে।