মাদক পাচারে আমাদের কিছু সংসদ সদস্য জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য টিপু মুনশী। তিনি বলেন, “মাদক ব্যবসায়ী যারা, সমাজের বড় বড় জায়গায় রয়েছে, বিশেষ বিশেষ অবস্থানে রয়েছে। এমনকি আমাদের সংসদেও দু-চারজন রয়েছে।”
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবসের এক আলোচনায় তিনি এ অভিযোগ করেন। তবে তিনি কারো নাম বলেননি।
এসব সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ করে টিপু মুনশী বলেন,
অনুষ্ঠানে এ সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “মাদক পাচারকারী সংসদ সদস্য বা ব্যবসায়ী তিনি যত ক্ষমতাধরই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।”
কামাল বলেন, “সংসদ সদস্যের নাম যেভাবে এসেছে, যদি প্রমাণসহ আমরা পাই কাউকে ছাড় দিচ্ছি না তো। আইন তার গতিতে চলছে।”
নায়েক আবদুর রাজ্জাক প্রসঙ্গেও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “ইয়াবার ক্ষেত্রে হয় কি মিয়ানমার থেকে লোকজন এগুলো নৌকায় থুয়ে যায়, নৌকা থেকে আমাদের লোকেরা নিয়ে আসে। এ রকমভাবেই আদানপ্রদান হয়। সে রকমভাবে সেদিন টহল দিতে গিয়েই এই বিপত্তিটা হয়েছিল। রাজ্জাককে তারা অপহরণ করেছিল।”
আলোচনায় উঠে আসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও পাচাররোধে করণীয় বিভিন্ন দিক। দেশের অভ্যন্তরে মাদক উৎপাদন না হলেও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে তা পাচার করে আনায় এর প্রভাব বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে বলে জানান বক্তারা। আর এসব পাচারে অবৈধ ব্যবসায়ী এমনকি সংসদ সদস্যরাও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে আসে আলোচনায়।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবসের কর্মসূচিতে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন করে মাদক দ্রব্য নিয়নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।