থাইল্যান্ডের বাজারে সাত হাজার পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

SHARE

thai marketথাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৯৯৮টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রথমবার আয়োজিত বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ফরেন অফিস কনসালটেশন, এফওসি শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব নরাসিত সিনহাসেনা। তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ড সরকার সে দেশে ১৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। উন্নত জীবন এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত হলে মানব পাচার কমে আসবে বলেও মন্তব্য থাই পররাষ্ট্র সচিবের। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। নরাসিত সিনহাসেনা বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। প্রতি দুই বছর পর শুল্কমুক্ত পণ্যের তালিকা পর্যালোচনা করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের কৃষিদ্রব্য, ওষুধ ও তৈরি পোশাক শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আসবে।

মানব পাচার সম্পর্কে তিনি বলেন, মানব পাচার এখন আন্তর্জাতিকভাবেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। পুরো বিশ্ব বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেন মানব পাচার হচ্ছে, মানুষ কেন ঝুঁকি নিয়ে পাচারের শিকার হচ্ছে_ তারও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। কর্মসংস্থান এবং উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করা গেলে মানব পাচার এমনিতেই কমে যাবে। তিনি জানান, আগামী ২ জুলাই আসিয়ানের মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠকে মানব পাচার বন্ধে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, ইকোনমিক করিডোর বিসিএমআইর বাইরে আসিয়ানের সঙ্গে যুক্ত হতেও আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এ আগ্রহকে স্বাগত জানায় থাইল্যান্ড।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে থাকা প্রায় ১৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দেওয়ার বিষয়টি থাইল্যান্ড সরকার সক্রিয়ভাবে চিন্তা করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এ বিষয়টির সমাধান হলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। বিশেষ করে মৎস্য আহরণ এবং নির্মাণ খাতে কর্মী নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, এই এফওসি বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। দু’দেশের মধ্যে পর্যটন যেমন বাড়বে, তেমনি স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি খাতেও থাই বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।