রাজারবাগ পীরের মাইক বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি

SHARE

রাজধানীর রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের মাইক বন্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় প্রচারণার নামে উচ্চশব্দে দিন-রাত মাইক বাজিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে উল্লেখ করে এলাকাবাসীর এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এ চিঠি দেয়া হয়।image_85263_0

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুরাইয়া পারভীন শেলী স্বাক্ষরিত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর দেয়া চিঠি ঢাকা মাহনগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গেছে। সেখান থেকে শাজাহানপুর থানা পুলিশকে চিঠিটি দেয়া হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক মো. দাউদ শনিবার নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমরা চিঠি পেয়েছি। এ বিষয়ে শিগগির ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”

শান্তিবাগ, রাজারবাগ, শহীদবাগ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাইয়েনাত গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাজারবাগ পীর দিল্লুর রহমান তার অনুসারীদের নিয়ে সকাল, দুপুর ও গভীর রাত পর্যন্ত মাইকে গান-বাজনা করেন। এতে শব্দ দূষণে এলাকার বাসিন্দাদের ঘুম, নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা ও রোগীদের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে বহুবার থানা পুলিশে অভিযোগ করেও ফল না পেয়ে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন। গত ৮ মে’র ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি শাজাহানপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিল্লুর রহমান নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানাধীন প্রভাকরদী গ্রামের তাতী ও সুতা ব্যবসায়ী মৃত মোখলেছুর রাহমানের তৃতীয় পুত্র। তিনি নিজেকে ‘বাহরুল উলুম’ বা জ্ঞানের সমুদ্র বলে দাবি করেন।

রাজধানীর রাজারবাগে ৫ নং আউটার সার্কুলার রোডে মুহাম্মাদিয়া জামিয়া শারিফ ও সুন্নাতি জামে মাসজিদ হলো কথিত এই পীরের দারবার। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ভবনটির ছাদে চারপাশে মাইক লাগানো। এ বিষয়ে দরবারের খাদেম মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, হজরত মুহাম্মদ সা. এর জন্ম ও ইন্তেকালের দিন অর্থাৎ ঈদে মিলাদুন্নবীর সময় টানা ৫৮ দিন মাইক বাজিয়ে মাহফিল হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় দিবসে তারা মাইকে ওয়াজ-নসিহত করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষের লোকজনের খারাপ লাগে।”

দিল্লুর রহমানের দরবারের ভবনটির সঙ্গে লাগোয়া ‘শেলটেক সুরমা’ নামের ১৭ তলা ভবন। এখানকার ১০০টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের কানে সরাসরি দরবারের মাইকের শব্দ যায়। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পীর ও তার অনুসারীদের ভালো সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেও তারা সন্তোষজনক ফল পাননি।