ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করতে না পারলে চুক্তির সুফল পাওয়া যাবে না

SHARE

cpdবাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তি বাস্তবায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন ও জমি অধিগ্রহণকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা জানিয়েছেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো এবং ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করতে না পারলে চুক্তির কোন সুফল পাওয়া যাবে না। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এমন মত দেন।

শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার আন্ত:যোগাযোগ ও বাণিজ্য সুবিধা’ শীর্ষক সংলাপে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচ কে শ্রেষ্ঠা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৫ জুন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তির অধীনে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি চলতে পারবে। শুল্ক ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে নিজ নিজ দেশের আইনে। তবে ট্রানজিট ও চলাচলের অনুমতি সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।

শনিবারের সংলাপে মূল প্রবন্ধে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “চার দেশীয় যোগাযোগব্যবস্থা বাস্তবায়নে পৃথক মনিটরিং কমিটি ও যৌথ মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করতে হবে।”

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তির ফলে ব্যবসার নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এ সংযোগ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশসহ এতদঞ্চল ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে শীর্ষ অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।” এছাড়া বাংলাদেশের যে সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত রয়েছে তা আরো বিকশিত হবে বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় এ ব্যবসায়ী নেতা।

পঙ্কজ শরণ বলেন, “আমি যোগযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে ভাল এক্সপার্ট নই। তবে কানেকটিভিটি নিয়ে এযাবৎ যত আলোচনা হয়েছে তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, জমি অধিগ্রহণ এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।”