ক্ষমতায় থাকলে ভারত বিএনপির বন্ধু, বিরোধীদলে থাকলে শত্রু

SHARE

rabbi miyaবিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন ভারত তাদের বন্ধু হয়, আর যখন বিরোধীদলে থাকে, তখন শত্রু  হয় বলে মত দিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্ব অনেক দেনদরবার করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত।

এর জবাবে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্রের মধ্যেই আওয়ামী লীগের জন্ম। আর বিএনপির জন্ম মার্শাল-লয়ের মধ্যে। তার গণতন্ত্রের কী বুঝবে!

বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে জাতীয় স্কেলে বেতনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার এ মত ও বক্তব্য দেন।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থন বর্তমান সরকারের সাফল্য; যা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ ছিল। সে কাজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পন্ন করতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন ভারত বন্ধু হয়। আর যখন বিরোধীদলে থাকে, তখন ভারত শত্রু হয়। আপনারা অনেক দেনদরবার করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন।

দেখা করে বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অথচ ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যখন ঢাকা আসেন, তখন তার সঙ্গে দেখা করেসনি। এবার আবার নালিশ করলেন!

বিএনপির উদ্দেশে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনারা তো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসেননি। এরপরের ২০‌১৯ সালের নির্বাচনী ট্রেনে আসেন। আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে অনেক দেনদরবার করেছেন, যেন নির্বাচন না হয়।

তিনি বিএনপিকে মনে করিয়ে দেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে Extra judicial power (অসাংবিধানিক শক্তি) ক্ষমতায় আসতো। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সমুন্নত হয়েছে; এর ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে।

ফজলে রাব্বি মিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বলেন, বর্তমান সরকার ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছে। আপনারাও আপনাদের দাবি যথাযথভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করতে পারলে তা জাতীয়করণ হতো।

তিনি বলেন, আলেম সমাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাদ দরদ আছে।

এ সময় তিনি জানান, ৬০০০ হাজার মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ করার জন্য জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করবেন। তিনি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের নিরাশ করবেন না।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক সাগর আহমেদ শাহীন, উপকমিটির সহসম্পাদক এম এ করিম, ওলামা লীগের সভাপতি আল্লামা ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী।

সভাপতিত্ব করেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী এবং বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান।