দায়িত্ব পালনে খালেদ মাহমুদের অপারগতা

SHARE

khaled mahbubপেশাদার ম্যানেজার না থাকায় প্রতিটি সিরিজেই বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হন বিসিবির কোনো পরিচালক। সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনই ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজি না থাকায় ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে ম্যানেজার পাচ্ছিল না বিসিবি। কয়েকজন পরিচালককে বলা হলেও তারা অপারগতা প্রকাশ করেছেন ম্যানজারের দায়িত্ব পালনে।

কে হচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার? পত্র-পত্রিকায় এমন শিরোনামের সংবাদও ছাপা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ আবারও টাইগারদের ম্যানেজার হন বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু সিরিজ শুরুর দুদিন আগেই দায়িত্ব পালনে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন তিনি। বোর্ডকেও এটা জানিয়েছেন তিনি।

ম্যানেজারের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন বলেন, “আমি তো অফিসিয়ালি কিছু বলি নাই।” তবে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা তিনি বোর্ডকে জানিয়েছেন। রোববার রাতেই বিসিবির সিইওকে পাঠানো ই-মেইলে পারিবারিক কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে জানা গেছে, সুজনের সরে দাঁড়ানোর কারণ মূলত, ম্যানেজার হিসেবে তার সম্মানী নেয়া নিয়ে। অতীতে বোর্ড পরিচালকরা ম্যানেজার থাকাকালীন দৈনিক ভাতা’র বাইরে কোনো সম্মানী পেতেন না। কিন্তু সুজন দৈনিক ভাতা’র বাইরেও সম্মানী নিতেন। তার পেছনেও যৌক্তিক কারণ রয়েছে। বোর্ড পরিচালক হলেও ব্যক্তিগত জীবনে একটি ব্যাংকে চাকরি করেন সুজন। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হলে তাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে অবৈতনিক ছুটি নিতে হয়। তাই সুজন সেই ঘাটতি পূরণ করতে বিসিবির কাছ থেকে সম্মানী নিতেন। কেন সুজনকে সম্মানী দেয়া হয়? এ বিষয়ে বোর্ড পরিচালকদের মাঝেও উচাটন ছিল। চারপাশে সমালোচনাও ক্রমশ বাড়ছিল। এ সম্পর্কে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় কয়েকদিন আগে। যার পরিণতি হিসেবে ম্যানেজারের পদ থেকে পদত্যাগই করে বসলেন সুজন।