দূতাবাসের চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন মোদি

SHARE

modi cরাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধনে করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রোববার সকাল পৌনে ১০টার আগে তিনি বারিধারায় দূতাবাসে পৌঁছে এ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মোদির সফরসঙ্গী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

দূতাবাসে পৌঁছানোর পর মোদি প্রথমে একটি বকুলের চারা রোপণ করেন। এরপর দূতাবাসের চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। এরপর বাংলাদেশ সরকারকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন তিনি। অ্যাম্বুলেন্সটি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।

অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের পর মোদি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।

এর আগে, সকালে পৌনে ৯টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনের সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন মোদি। ঢাকেশ্বরীতে মিনিট দশেক পূজা-অর্চনা করে রামকৃষ্ণ মিশনের দিকে রওয়ানা হন তিনি।

৯টা ৭ মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পরিদর্শনে পৌঁছে সেখানে প্রার্থন‍া করেন মোদি। প্রায় মিনিট বিশেক অবস্থানের পর রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ ছেড়ে বারিধারার উদ্দেশে রওয়ানা হন তিনি।

দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মোদি। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন তিনি।

দুপুরে খানিকটা বিশ্রামের পর বিকেল ৩টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তারপর একে একে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ হোটেল সোনারগাঁওয়ে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।

সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বক্তৃতা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পরপরই তিনি নিজ দেশে ফেরার উদ্দেশে যাবেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

সেখানে রাত ৮টা ১০ মিনিটে ভিভিআইপি টারমাকে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত ৮টা ২০ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে করে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।

এর আগে, শনিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার আগে ঢাকায় পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনার গ্রহণ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাভারে চলে যান। সেখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি যান ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর মোদি হোটেল সোনারগাঁওয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে বেশ ক’টি বৈঠক করেন এবং যৌথ কর্মসূচিতে অংশ নেন।