‘আর কতবার আমার কাছে ক্ষমা দাবি করবেন? এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলে গেছি। শতবার বলেছি, ২ হাজার বার বললে খুশি হবেন?’
কথাগুলো বলছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এমন সময়েই সাংবাদিক বললেন, ‘আবার বলুন, আমরা একটু শুনি।’
আরও পড়ুন
জুমার দিন গুলিবিদ্ধ ও মৃত্যু: হাদিকে নিয়ে দেশবরেণ্য আলেমদের মন্তব্য
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের লন্ডনে একটি রেস্টুরেন্টে জামায়াত আমিরের মিট দ্য প্রেসে এই ঘটনা ঘটেছে।
বৈঠককালে ‘পলিটিকা টিভি’র এডিটর ইন-চিফ ও একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ জামায়াত আমিরকে প্রশ্ন করেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জনাব তারেক রহমান লন্ডনে বলেছেন যে একাত্তরে আপনাদের ভূমিকা জাতি দেখেছে।
আবার আপনি বিজয় দিবসের র্যালিতে বলেছেন যে বাংলাদেশের মানুষের উপরে যা জুলুম হয়েছে, জুলুম করেছেন, সেটার জন্য আপনারা ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং আপনারা ভালো হয়ে গেছেন। তো কোন জুলুমের কথা…।’
জবাবে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান তাকে প্রশ্ন করে বলেন,
‘বলবেন যে আপনি কোন মিডিয়ায় কাজ করেন, একটু প্লিজ?’
এ সময় সাংবাদিক তানভীর আহমেদ নিজের পরিচয় দিলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সো আই থিংক ইউ আর ম্যাচিউর পলিটিশিয়ান অলসো, অর পলিটিশিয়ান মেকার। আপনি আমার বক্তব্য শুনেন নাই। আপনি আমার কাটপিস শুনেছেন।’
বক্তব্য বিকৃত করে প্রচারকারীদের ‘ইয়েলো জার্নালিস্ট’ আখ্যা দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘উই হ্যাড দোজ ইয়েলো জার্নালিস্টস।
আমি মাফ চাই নাই। এটা ছিল ৯৬ সালে শেখ হাসিনার হাত জোড় করে মাফ চাওয়ার কাহিনী।
সেটাকে টুইস্টেড করে এনে আমার উপর ফেলা হয়েছে। এরপরে এরা সবাই আমাদের কাছে মাফ চেয়েছে, এই কাজ যারা করেছেন।
ইনটেনশনালি ড্যামেজ করার পরে এই মাফ চাওয়া। মাফ চাইছেন গোপনে, ড্যামেজ করেছেন ওপেনে। এই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। এটা আমার বক্তব্য নয়, যেটা আপনি শুনেছেন।’
তার প্রতিউত্তরে সাংবাদিক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রশ্নটি ছিল একাত্তরের ভূমিকার জন্য আপনারা প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন কিনা?’
এর জবাবে জামায়াত আমির প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আর কতবার আমার কাছে এটা দাবি করবেন? এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলে গেছি। শতবার বলেছি, ২ হাজারবার বললে খুশি হবেন?’
এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আবার বলুন, আমরা একটু শুনি।’
জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দরকার নাই আমার। একই কথা বারবার বলব কেন? বহুবার বলেছি। যদি একবার বলায় না হয়, ১০ হাজারবার বলায় হবে না।’




