দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজার ওপর ইসরাইলি হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই বর্বর আগ্রাসনে অসংখ্য পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে কেউ বাবা-মাকে হারিয়েছে, কেউবা হারিয়েছে নিজের সন্তানদের। অনেক শিশুই এত কম বয়সে এতিম হয়ে গেছে যে, তারা এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারে না ঠিক কী হারিয়েছে।
আলজাজিরা প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাজার কয়েকজন শিশুর সঙ্গে কথা বলছেন এক ব্যক্তি। তিনি জানতে চান, তাদের পরিবারে কেউ নিহত হয়েছে কি না।
এক ছেলেশিশু জানায় তার বাবা-মা দুজনই আর বেঁচে নেই। তার পাশে থাকা এক মেয়েশিশুর দিকে ইঙ্গিত করে সে বলে—তার বাবাও আর নেই।
প্রশ্নকারী আবারও নিশ্চিত হতে চাইলে পাশের আরেক শিশু জানায় ওর বাবা নয়, ওর মা মারা গেছেন।
মেয়েটি জানায়, তার বাবা নাবলুস এলাকায় মারা গেছেন। আর ছেলেটি বলে, তার বাবা ঘরে খাবারের জন্য আটা আনতে বের হয়েছিল, কিন্তু আর ফিরে আসেননি। “তিনি শহীদ হয়ে ফিরেছেন” এমন প্রশ্নে শিশুটি চুপচাপ মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। নিজের বাবার কথা বলতে গিয়ে তার চোখেমুখে স্পষ্ট দুঃখের ছাপ দেখা যায়।
আরেক মেয়ে জানান, তার বাবাকে ইসরাইলি সেনারা তিনটি গুলি করেছিল। ছেলেটি দেখায় তার বাবাকে বুকে গুলি করা হয়েছিল। প্রশ্নকারী জানতে চাইলে শিশুটি বলে, তারা ‘ওদা’ পরিবারের সন্তান এবং এখন জেইতুন এলাকায় থাকছে।
শেষে মেয়েটি জানায়, তার বাবার নাম ছিল ফাদি। তিনি নাবলুসে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন সেগুলো বিক্রি করে পরিবারে খাবার কিনে আনার জন্য। কিন্তু তিনি আর জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারেননি।




