টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে দাপট দেখিয়ে পেটে পুড়ে নিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। আজ ঘরের মাঠের দ্বিতীয়টি দাপট দেখাল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে ৪০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ে।
ম্যাচটি দেখতে ৮২ হাজার ৪৩৮ জন দর্শক উপস্থিত হন মেলবোর্নের গ্যালারিতে।
ভারতকে গুড়িয়ে ঘরের সমর্থকদের হতাশ করেননি মিচেল মার্শ-জশ হ্যাজলউডরা। এ জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
বোলারদের দাপটে ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য পায় অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ।
ব্যক্তিগত ২৮ রানে যখন বাঁহাতি ব্যাটার হেড আউট হলেন ততক্ষণে ৫১ রানের সংগ্রহ পায় অজিরা। সেটিও মাত্র ৪.৩ ওভারে।
শেষ দিকে অবশ্য দ্রুত ৫ উইকেট তুলে নিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় ভারতীয় বোলাররা। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন অধিনায়ক মার্শ।
ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন জাসপ্রীত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জশ হ্যাজলউডের তোপে কাঁপতে থাকতে ভারতের ব্যাটাররা। কেননা দলীয় ৪৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের দল। যার মধ্যে ৩টিই নেন হ্যাজলউড। ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হন অস্ট্রেলিয়ার পেসার।
হ্যাজলউডকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। দুজনই ২টি করে উইকেট নেন। তিন পেসারের বিপক্ষে একাই লড়াই করেন ওপেনার অভিষেক শর্মা। ১৮৩.৭৮ স্ট্রাইকরেটে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত দলকে ১২৫ রানের সংগ্রহ এনে দেন তিনি।
এই সংগ্রহ দাঁড় করাতে ষষ্ঠ উইকেটে অভিষেককে দারুণ সঙ্গ দেন হারশিত রানা। বোলিং করাটা যার মূল কাজ সেই পেসারের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন অভিষেক। সাতে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় পেসার। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারসেরাও।
 
            
 
	


