মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো সংক্রান্ত দুর্নীতি ও মানবপাচার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম ও রূহুল আমিনকে দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বিষয়টি ‘সরকার থেকে সরকার’ (জিটুজি) এবং ‘পুলিশ থেকে পুলিশ’ (পিটুপি) পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বুকিত আমান রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে এই প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়া সফরকালে এই ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষই তখন পিটুপি ভিত্তিতে প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছিলেন যে অর্থ পাচার, চাঁদাবাজি ও বিদেশি কর্মী পাচারের অভিযোগে আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী রুহুল আমিনকে গ্রেফতারের অনুরোধ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। সে সময় মালয়েশিয়া সরকার জানতে চেয়েছিল, গ্রেফতারের উদ্দেশ্য প্রত্যর্পণের জন্য, নাকি আরো তদন্তের স্বার্থে।




