প্রতিশোধটা দুর্দান্তভাবে নিল জিম্বাবুয়ে। বছরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টে ৭২ রানে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। এবার ঘরের মাঠ হারারেতে প্রতিপক্ষকে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারিয়েছে।
এতে ক্রিকেটের আদি সংস্করণের পরিসংখ্যানে দুই দল সমানে সমান।
৫ টেস্টের দেখায় উভয় দলের জয়-পরাজয় সমান, ২টি করে। ২০২৪ সালের বুলাওয়ে টেস্টটি হয়েছে ড্র।
সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়ের জয় পাওয়া প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কেননা আফগানিস্তানের ১২৭ রানের বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ৩৫৯ রান করে জিম্বাবুয়ে।
২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে নেমেও ব্যাটিং ধসে পড়ে আফগানরা। দলীয় ৬০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির দল।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ৪৯ রানে জুটি গড়ে পরাজয়ের ব্যবধান শুধু কমিয়েছেন বাহির শাহ (৩২) ও আফসার জাজাই (১৮)। তবে ১৮ রানের ব্যবধানে দুজনই বিদায় নিলে ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস।
ওপেনিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন ইব্রাহিম জাদরান।
জিম্বাবুয়েকে বড় জয় এনে দেওয়ার কারিগর ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার এনগারাভা। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসের মতো ফিরতি ইনিংসেও সমান ৩ উইকেট নিয়েছেন মুজারাবানি। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তানকা চিভাঙ্গা।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার নায়ক বেন কারান। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেছেন ১২১ রানের। ১৫ চারে ইনিংসটির জন্য পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ৩৫৯ রানের সংগ্রহে অবশ্য ৬৫ রানের ইনিংস খেলে অবদান রেখেছেন সিকান্দার রাজাও। আফগানরা ম্যাচ হারায় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েও পরাজিত দলে থাকতে হলো জিয়াউর রহমানকে।