ক্লাব ইতিহাসে অনেক জয়ের স্মৃতিই রয়েছে কোমোর। যেমন গত মাসেই সর্বশেষ জয়টা পেয়েছে কোপা ইতালিয়ায় সাসুলোর বিপক্ষে। তবে মনের ভেতরে একটা ক্ষত বহু বছর ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছিল তারা। যা অন্য প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে ক্ষতটা মিটছিল না।
সঠিক ওষুধই প্রয়োজন ছিল কোমোর। সেই ওষুধের সন্ধান করতে ৭৩ বছর লাগল তাদের। বহুল প্রতীক্ষিত জয়টা যে আজ পেয়েছে কোমো। ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জুভেন্টাসকে হারিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে তারা।
সর্বোচ্চ ৩৬ বারের সিরি আ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সর্বশেষ ১৯৫-৫২ মৌসুমে জয় পেয়েছিল কোমো। ঘরের মাঠে ২-০ গোলের সেই জয়ের পর আর কখনোই তৃপ্তির হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তারা। অবশেষে সেই হাসি আজ ওষ্ঠ স্পর্শ করেছে।
জিউসেপ্পে সিনিগাগলিয়া স্টেডিয়ামে কোমোকে হাসি এনে দেওয়ার মূল কারিগর নিকো পাজ।
এক অবিশ্বাস্য গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেছেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস করেন তিনি। জুভেন্টাসের ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে বাঁ পায়ে বলকে জালে জড়িয়ে দেন মার্ক-অলিভার ক্যাম্প।
এক গোলের লিডে যখন দীর্ঘ অপেক্ষার জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখছিল কোমো তখনি সমর্থকদের আনন্দ দ্বিগুণ করেন পাজ। গোলটাও ছিল দর্শনীয়।
প্রতি আক্রমণ থেকে সতীর্থর বাড়ানো পাসে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে শরীরের নাচনে একজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানান তিনি।
পরে ডান প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্টে বলকে জাল খুঁজে নিতে বাধ্য করেন পাজ। জুভেন্টাসের গোলরক্ষক শুধু ডান প্রান্তে লাফ দিয়ে চেষ্টাটা করতে পারলেন। পরে রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের নগরীতে যেন রূপ নেয় পুরো স্টেডিয়াম।
মাঠের নায়ক পাজ হলেও নেপথ্যের নায়ক সেস ফ্যাব্রিগাস। ২০২৪ সালে কোমোর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দারুণ মুহূর্ত উপহার দিচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ মৌসুমে ১০ নম্বরে শেষ করা কোমো এখন পর্যন্ত সাতে রেখেছেন সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। লিগের ৭ ম্যাচে এখন পর্যন্ত তার দল একটি ম্যাচই হেরেছে। ৩ জয়ের বিপরীতে ড্র ৩।