মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক দিনের মধ্যেই সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা শুক্রবার দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনার দেশ ছেড়ে পালানো এবং আন্তর্জাতিক মহলে নতুন এক অভ্যুত্থান নিয়ে উদ্বেগ ছড়ানোর মধ্যেই তিনি শপথ নিলেন।
সেনাবাহিনীর ক্যাপস্যাট ইউনিটকে র্যান্ড্রিয়ানিরিনা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যারা বিদ্রোহ করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। রাজোয়েলিনাকে ‘দায়িত্ব থেকে পলায়ন’-এর অভিযোগে অভিশংসনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেয়।
শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মোড়। আমরা নতুন সংবিধান প্রণয়ন, নির্বাচনী আইন সংস্কার এবং গণভোটের প্রস্তুতিতে জাতির সব অংশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব।’
তিনি রাজোয়েলিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুবকদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অনুরোধে অরাজকতা ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করেছে।
রাজধানী আন্টানানারিভোতে অনুষ্ঠিত শপথ অনুষ্ঠানে সামরিক কর্মকর্তারা, রাজনীতিবিদ, জেনারেশন জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও ফ্রান্সের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে র্যান্ড্রিয়ানিরিনা জোর দিয়ে বলেন, এটি কোনো সামরিক অভ্যুত্থান নয়, কারণ দেশের সাংবিধানিক আদালত এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছে।
তিনি ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার করে বলেন, দেশটি সামরিক শাসনে নয়, বরং ‘নাগরিক সরকারের অধীনেই চলবে।’
৫১ বছর বয়সী এই কর্নেল শুক্রবারের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাক ছেড়ে স্যুট পরে বক্তৃতা দেন, যেখানে তিনি বিদেশি প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা মাদাগাস্কারকে জাতীয় পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অতীত থেকে বেরিয়ে এসে প্রশাসনিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর পূর্ণ সংস্কার।