ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সামরিকপ্রধান ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার গোষ্ঠীটি জানিয়েছে এবং প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল-ঘামারি ‘ইসরায়েলি শত্রুর বিরুদ্ধে গৌরবময় লড়াইয়ে’ প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া কোনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
এই ঘোষণা এসেছে গাজায় দুই বছরব্যাপী যুদ্ধে স্থগিত যুদ্ধবিরতির কয়েক দিনের মধ্যে, যখন হুতিরা রেড সি এলাকায় ইসরায়েলি লক্ষ্যভিত্তিক এবং কার্গো জাহাজে একাধিক হামলা চালিয়েছিল।
হুতির ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঘামারি তার ‘সঙ্গীরা’ এবং ১৩ বছর বয়সী ছেলেসহ নিহত হয়েছেন, তবে হামলার সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, সর্বশেষ বড় ইসরায়েলি বিমান হামলার লক্ষ্যের মধ্যে ছিল হুতিদের জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তর।
তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বৃহস্পতিবার এক্সে লিখেছেন, ঘামারি ‘আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন’—তিনি আগস্টের শেষ দিকে হওয়া সেই হামলার কথা উল্লেখ করেছেন, যাতে হুতি প্রধানমন্ত্রী ও তাদের মন্ত্রিসভার অর্ধেক সদস্য নিহত হয়েছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘তিনি যেসব জঙ্গি কমান্ডাররা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল তাদের মধ্যে একজন, তারা নির্মূল হয়েছেন— আমরা সকলেরই মোকাবেলা করব।
’
ইরানের ‘প্রতিরোধ অক্ষে’ অংশ হিসেবে ইসরায়েল ও মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে গাজা যুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়েছে হুতি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের অভিযানে মোট ৭৫৮টি সামরিক অভিযান হয়েছে এবং এতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ এক হাজার ৮৩৫টি সমরাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে।
হুতিদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শত্রুর সঙ্গে সংঘর্ষের পালা শেষ হয়নি এবং জায়নবাদী শত্রু (ইসরায়েল) তাদের সংঘটিত অপরাধের প্রতিদান হিসেবে প্রতিরোধমূলক শাস্তি পাবে।’