বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনা করে দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “সালাহ উদ্দিনের প্রকৃত অবস্থা জানা দরকার। তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মেঘালয়ে যাবেন। তখন তার প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। এরপর বিএনপি বক্তব্য দেবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, “রেড অ্যালার্ট কিছু নয়। এটি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন।”
দলটির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহাজাহান বলেছেন, “দীর্ঘ দুই মাস সালাহউদ্দিন আহমদের সন্ধান পাওয়ার পর আমার সবাই খুশি হয়েছি। এখন সবার উচিত, তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে যে ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। সবারই উচিত সালাহউদ্দিনের বিষয়ে মানবিক আচরণ করা।”
এদিকে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৮শে মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করবে বিএনপি।
কর্মসূচির প্রথম দিন ২৮ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এছাড়া ৩০ মে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এর আগে নয়াপল্টন কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাফরুল হাসান, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, মহিলা দল সভাপতি নুরী আরা সাভা, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মৎস্যজীবী দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ তাহের, তকদির হোসেন মো. জসিম, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দল সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, মুক্তিযোদ্ধা দল সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, তাঁতী দল সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং আবদুল মতিন চৌধুরী, মিলন মেহেদী, মো. আউয়াল খান, আকম মোজাম্মেল হক, এম সানোয়ার হোসেন, জিয়াউল হায়দার পলাশ ও এ কে এম আবুল কালাম আজাদ।