একসময় ইউরোপিয়ান ফুটবলে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিলেন নেইমার জুনিয়র। বার্সেলোনা ও প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভক্তদের মুগ্ধ করেছিলেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইনজুরি আর ক্লাব পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে বেশ কঠিন সময় পার করছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।
২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরবের আল হিলালে যোগ দেন নেইমার।
কিন্তু গুরুতর হাঁটুর ইনজুরির কারণে সৌদি প্রো লিগে খেলতে পারেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। এরপর নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরেন এবং বর্তমানে সেখানকার অধিনায়কও তিনি। তবে চোটের কারণে এবার ব্রাজিলের সিরি আ লিগে খেলেছেন মাত্র ১৩ ম্যাচ।
৩৩ বছর বয়সী নেইমার ২০২৩ সালের পর থেকে ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সিতেও মাঠে নামেননি।
ফলে গুঞ্জন উঠেছে, এবার হয়তো তিনি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)।
সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ইন্টার মায়ামি ক্লাব নেইমারকে দলে ভেড়ানোর পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই ক্লাবটি লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে নতুন চুক্তি নবায়নের আলোচনা করছে এবং তাদের পাশে নেইমারকে আনার চিন্তাও চলছে।
উল্লেখ্য, মৌসুম শেষে অবসরে যাচ্ছেন জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেতস।
তাই মায়ামি এখন এমন একজন বড় তারকার খোঁজে, যিনি দলে তারকা প্রভাব বজায় রাখতে পারেন।
তাহলে কি আবারও দেখা যাবে সেই ঐতিহাসিক ‘এমএসএন’ ত্রয়ীকে ইন্টার মায়ামির হয়ে?
বার্সেলোনায় মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমার মিলে গড়ে তুলেছিলেন এক অবিস্মরণীয় আক্রমণভাগ, যেটিকে সারা বিশ্ব চিনত ‘এমএসএন’ নামে।
যারা একসময় বার্সেলোনার হয়ে ইউরোপ কাঁপিয়েছিলেন।
তবে নেইমারকে দলে নেওয়া ইন্টার মায়ামির জন্য এক ধরনের ঝুঁকি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইনজুরির কারণে নিয়মিত মাঠে থাকতে পারেননি তিনি।
ডেভিড বেকহ্যামের সহ-মালিকানাধীন ইন্টার মায়ামি দলে এখন তারকা খেলোয়াড়ের অভাব নেই, কিন্তু বয়সের ভারে ক্লান্ত স্কোয়াডে তরুণ শক্তির ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা আছে। কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোও একসময় বার্সেলোনায় নেইমারের সতীর্থ ছিলেন, তাই পুরনো বন্ধুত্ব হয়তো এই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ফুটবল বিশ্বে এখন বড় প্রশ্ন— নেইমার কি সত্যিই যোগ দিতে যাচ্ছেন মেসির ইন্টার মায়ামিতে? আর আমরা কি আবারও দেখতে পাবো সেই জাদুকরি ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর পুনর্মিলন?