পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিমকে বহনকারী একটি নৌকাকে উপকূল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে মালয়েশিয়া।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার একজন মন্ত্রী একথা জানান। বুধবার উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং রাজ্যের উপকূলে নৌকাটি দেখা যায়।
এর মাত্র তিনদিন আগে নিকটবর্তী লঙ্কাউই দ্বীপে অবতরণ করেছিল সহস্রাধিক বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা।
মালয়েশিয়ার উপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি জাফর জানান, মালয়েশিয়ার উপকূল অভিবাসীতে ভরে গেলে তা বহন করার সামর্থ্য দেশটির নেই।
‘আমরা তাদেরকে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে তারা এখানে স্বাগত নয়,’ বলছিলেন জাফর।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়াও প্রায় ৬০০ অভিবাসীকে বহনকারী একটি নৌকা তাড়িয়ে দেয়।
মালাক্কা উপত্যকা এবং এর আশেপাশের এলাকায় হাজার হাজার অভিবাসী নৌকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় মানবেতন জীবন কাটাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মানব পাচারকারীরা এসব অভিবাসীকে বহনকারী জাহাজ ও নৌকাগুলো ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থার হিসেব মতে, মালয়েশিয়ায় দেড় লাখ শরণার্থী ও উদ্বাস্তু রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৫,০০০ জনই মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়।
মন্ত্রী জাফর বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমার সরকারের ওপর আরো চাপ দেয়া দরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সরকারের।
তিনি বলেন, বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমার গণতন্ত্রের কথা বলছে আর তার নাগরিকদের সাথে ক্রিমিনালের মত আচরণ করছে।
মিয়ানমারের বৌদ্ধি দুর্বৃত্তদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে গত তিন বছরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা নৌকায় চেপে দেশ ছেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা।
জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন, এপি