চ্যাম্পিয়নস লিগের রোমাঞ্চকর এক রাতে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের ইনজুরি-টাইমের গোলে লিভারপুল ৩-২ গোলে হারিয়েছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে। ম্যাচ শেষে উত্তেজনা ছড়ায় অ্যানফিল্ডে, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় অ্যাতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনেকে।
ম্যাচের শুরুটা ছিল একেবারেই লিভারপুলের। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে তারা স্প্যানিশ ক্লাবটিকে উড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
প্রথমে মোহাম্মদ সালাহর ফ্রি-কিক অ্যান্ডি রবার্টসনের গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করে, এরপর দুর্দান্ত গতিতে তিনজন অ্যাতলেতিকো ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নিজেই।
তবে ধুঁকতে থাকা অ্যাতলেতিকো প্রথমার্ধের ইনজুরি-টাইমে মার্কোস লরেন্তের গোলে ম্যাচে ফেরে। এই লরেন্তেই ২০২০ সালে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে বিদায় করে দিয়েছিলেন। ইতিহাস যেন পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল, কারণ ৮১ মিনিটে লরেন্তের ভলিতে বল আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের গায়ে লেগে আলিসনকে ফাঁকি দিলে হতবাক হয়ে যায় লিভারপুল রক্ষণ, সমতায় ফেরে অ্যাতলেতিকো।
শেষ পর্যন্ত ৯২ মিনিটে সবোসলাইয়ের কর্নার থেকে ভ্যান ডাইক ফাঁকায় হেডে জয়সূচক গোল করেন। গোলের পর লিভারপুল সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সিমিওনে, এরপর রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান। এমনকি মাঠ থেকে বেরোনোর সময়ও তিনি এক দর্শককে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সিমিওনে বলেন, ‘যেভাবে আমরা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়ি, সেভাবেই আমাদের এসবের বিরুদ্ধেও দাঁড়ানো উচিত।
৯০ মিনিট ধরে গালি খাওয়া সহজ নয়। আমার প্রতিক্রিয়া ন্যায্য নয়, তবে আপনাদের কি ধারণা আছে, এটা কতটা কঠিন?’
অন্যদিকে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট জয়ের পরও সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তার ভাষায়, ‘এমন ম্যাচ শেষ মুহূর্তে জেতার দরকার পড়ার কথা নয়। আমরা এত ভালো আক্রমণ করেছি, তৃতীয় গোল অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল।’
লিভারপুল টানা পাঁচ ম্যাচে ৮০ মিনিটের পর জয়সূচক গোল পেলেও রক্ষণভাগের দুর্বলতা চোখে পড়ছে।
অন্যদিকে মৌসুমের শুরুতে লিগে খারাপ সময় কাটানো অ্যাতলেতিকো আবারও নিজেদের ছন্দ খুঁজে পেল না অ্যানফিল্ডে।