পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন টু জিডিপি অনুপাত (মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি রেশিও) বাড়াতে অধিক সংখ্যক এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি অনুপাত এখনও ২০ শতাংশের নিচে। আমাদের মতো অর্থনীতির অনেক দেশে এটি ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি। পুঁজিবাজারে এসএমই কোম্পানির অংশগ্রহণ বাড়িয়ে এই অনুপাতের দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানের ডিসিসিআই অফিসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ এবং সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তাসকিন আহমেদ এসব কথা বলেন। সভায় ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সম্প্রতি নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
এ সময় ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি রয়েছে। যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে, তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের মতো দেশগুলোর অথবা আমাদের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে আগামীর কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্বৈত কর ব্যবস্থার প্রত্যাহার ও এর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করা। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এসএমই কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে।
এসএমই কোম্পানিগুলোর অর্থায়নের ওপর বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাসকিন আহমেদ আরও বলেন, বর্তমানে আরজেএসসি-তে ২ লাখের বেশি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৬০টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। নিবন্ধিত ওইসব কোম্পানিগুলো থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সংখ্যা বাড়াতে হবে। এছাড়া সরকারি কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে।
ডিএসই-এর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ভালো কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে নিয়ে আসার জন্য গ্রিন চ্যানেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএসইসি এই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করছে।
তিনি ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের মধ্যে ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ লক্ষ্যে এসএমই বোর্ড এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) সুবিধা ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে চেম্বার সদস্যদের সঙ্গে পৃথক দুটি অনুষ্ঠান আয়োজনেরও পরামর্শ দেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে ডিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিব এইচ চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম সোলাইমান, সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) একেএম আসাদুজ্জামান পাটুয়ারি, ডিএসই-এর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব.), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মো. শাকিল রিজভী, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।