ইউটিউবভিত্তিক গণমাধ্যমে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে : প্রেসসচিব

SHARE

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ইউটিউবভিত্তিক গণমাধ্যমে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কারণ পৃথিবীর কোনো দেশেই সেনাবাহিনীর মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে ২০ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করা হয় না। অথচ বাংলাদেশে এগুলো প্রতিনিয়তই ঘটছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি প্রতিবাদকে মব হিসেবে না দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন।

প্রেসসচিব বলেন, ‘মিডিয়া লাইসেন্স নিতে হলে অনলাইনের জন্য ১০ থেকে ১৫ কোটি, পত্রিকার জন্য ২০ কোটি ও টিভির জন্য ২০-২৫ কোটি টাকা সিকিউরিটি হিসেবে সরকারের কাছে জমা রাখতে হবে। যখন হাউসগুলো ভালনারেবল হবে তখন সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য এগুলো কাজে আসবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আবু সালেহ আকন বলেন, ‘আমাদের অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।
বিপ্লবের পরে মিডিয়ার কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাংবাদিকরা এখনো মবের শিকার হচ্ছে। ডিএফপির অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।

এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইউনিয়নের পাশাপাশি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেস ক্লাব ও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার। কারণ সারা দেশে ইউনিয়নের শাখা নেই। প্রবীণ সাংবাদিকদের ভাতার আওতায় আনতে হবে।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের সদস্যসচিব মো. মিয়া হোসেন। মিয়া হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘কমিটির সুপারিশের ১৩ ধারাতে সাংবাদিক নির্যাতন ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
অথচ বিদ্যমান দণ্ডবিধিতে সাংবাদিক নির্যাতনের ধারা অজামিনযোগ্য রয়েছে। এর মাধ্যমে অপরাধীকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যার কারণে অপরাধীরা আরো নির্যাতনে উৎসাহিত হবে।’ তিনি আরো বেশ কিছু ধারা ও উপধারায় সীমাবদ্ধতার কথা বলেন।